সিকৃবি প্রতিনিধি

০৩ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:৫৬

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগারোতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

১১বছর অতিক্রম করলো উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সিকৃবি ক্যাম্পাস বর্ণাঢ্য সাজে সেজেছে। হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষার্থীর প্রাণের উচ্ছ্বাসের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে সিকৃবি।

সকাল সাড়ে ন’টায় প্রশাসন ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে ও জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে মূল অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এরপর শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়ানো হয়। সেখান থেকে শুরু হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। নানা রঙে ও পোশাকে সজ্জিত এ শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।

শোভাযাত্রাটির নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম শাহি আলম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল ইসলাম, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার, প্রক্টর প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, দপ্তর প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং ক্যাম্পাসের প্রাণ সিকৃবির ৬ অনুষদের শিক্ষার্থীরা। শোভাযাত্রা শেষে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জন্মদিনের কেককাটা হয় ও মিষ্টিবিতরণ হয়। এবং সেখানে একটি আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস মাতায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। বিভিন্ন অনুষদের শিল্পীরা নাচে গানে জাকজমকভাবে আয়োজন করেছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ক্যাম্পাসের এই আনন্দ উৎসবে যোগ দিতে ইতোমধ্যে সাবেক সিকৃবিয়ানরা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিলেটে ছুটে এসেছেন।

মাত্র ৫০ একর জমি নিয়ে ২০০৬ সালের ২ নভেম্বর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যাত্রা করেছিল। মূল ক্যাম্পাসের বেশির ভাগ জমি টিলা ও জঙ্গলবেষ্টিত। শিক্ষক বা শিক্ষার্থীরা গবেষণার জন্য জমি গতবছর বহিঃক্যাম্পাস হিসেবে ফেঞ্চুগঞ্জ-তামাবিল বাইপাস সড়ক সংলগ্ন খাদিম নগর এলাকায় ১২.২৯ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত