২৪ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:২৪
শতবর্ষী মুরারিচাঁদ কলেজের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রাবাসের অবস্থান সিলেট নগরীর বালুচরে। ১৯২০ সালে প্রায় ৬০০ শতক জায়গার ওপর নির্মিত হয় আসাম প্যাটার্নের সেমি পাকা আদলের মুরারিচাঁদ(এমসি) কলেজ ছাত্রাবাস।
ছাত্রলীগ-শিবির দ্বন্ধে ২০১২ সালে পুড়িয়ে দেওয়া হয় ঐতিহ্যবাহী ছাত্রাবাসটির ৪২ টি কক্ষ। সংস্কারের পর ২০১৬ সালে কলেজ কর্তৃপক্ষের শিক্ষার্থী উঠানোর বিজ্ঞপ্তিতে তেমন সাড়া মেলেনি, যদিও আগুনের পোড়া গন্ধের স্মৃতি আর স্নায়ুচাপ নিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীরা উঠে চার তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনসহ সাতটি ব্লকের ছাত্রাবাসে।
২০১৭ সালের জুলাইয়ে আবারও কলেজ ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের দ্বন্ধে ভাঙচুর হয় ছাত্রাবাসটির তিনটি ব্লকের ৩৯টি কক্ষ। এসময় ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ছাত্রাবাসের ৫নং ব্লকের ১৪টি রুমের দরজা-জানালা। শিক্ষার্থীদের দাবীতে কয়েকমাস পরেই টিন, শীট দিয়ে সংস্কার করা হয় ব্লকটির ভাঙা দরজা-জানালা।
অাঘাতে অাঘাতে বিধ্বস্ত হওয়া ব্লকটির শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় আগুনে পোড়ার গন্ধ এখন আর না মিললেও পাওয়া যায় ফুলের ঘ্রাণ।
সরেজমিনে ছাত্রাবাস ঘুরে দেখা যায়, ছাত্রাবাসের পঞ্চম ব্লকের সামনে করা বাগানে গোলাপ, সূর্যমূখী, ডালিয়া, বেলী, গাঁধা প্রভৃতিসহ বাহারি রঙের ফুল। পাশাপাশি সবজি হিসেবে পেঁপে, টমেটো আর লালশাক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে ফুল বাগানের, সাথে সাথে পুরো ছাত্রাবাসের।
আপনার মন্তব্য