শাবি প্রতিনিধি

২৯ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৬:৪৮

হামলাকারীরা হাইকমান্ড থেকে অনুমতি নেয় নি: শাবি ছাত্রলীগ

প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে হামলাকারীদের কর্মী বলে স্বীকার শাবি ছাত্রলীগের

সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) প্রগতিশীল ছাত্রজোটের কর্মসূচিতে হামলাকারীরা সংগঠনের ‘কেউ নয়’ বলে প্রথমে দাবি করলেও পরবর্তীতে ছাত্রলীগ জানায়, হামলাকারীরা হাইকমান্ডের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এসময় ছাত্রলীগ হামলাকারীদের দুষ্কৃতিকারী হিসেবেও উল্লেখ করে।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের কর্মসূচিতে হামলার পর শাবিপ্রবি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগ।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান বলেন, ছাত্র ইউনিয়নের আন্দোলনের উপর হামলাকারীরা দলের হাইকমান্ডের কাছ থেকে কোন অনুমতি না নিয়েই এসব ঘটনা ঘটিয়েছে।

এসময় হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেউ নয় বলে দাবি করেন তিনি।

অস্বীকারের এক পর্যায়ে সাংবাদিকরা বিভিন্ন তথ্য প্রমাণের কথা বললে তখন ছাত্রলীগ নেতারা হামলাকারীদের নিজেদের কর্মী বলে দাবি করলেও হামলাকারীদের দুষ্কৃতিকারী বলে অবহিত করেন।

হামলাকারীরা দলের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, এসকল ব্যক্তিদের উপর সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাবি ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন, সহসভাপতি মোস্তাকিম আহমেদ মোস্তাক, তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সকালে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) প্রগতিশীল ছাত্রদের ডাকা আন্দোলনে হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গুরুতর আঘাতে জয়দীপ দাস নামে এক ছাত্রফ্রন্ট কর্মীর মাথা ফেটে যায়। এসময় আন্দোলনকারীদের শারীরিকভাবে হেনস্থা করে হামলাকারীরা। হামলায় ছাত্রফ্রন্ট নগর সাধারণ সম্পাদক রুবাইয়াৎ হোসেনসহ নারী কর্মীদের মারধর করে ছাত্রলীগের মুশফিকুর রহমান জিয়ার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা।

ওই হামলার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান জিয়া সিলেটটুডেকে বলেন, "ক্যাম্পাসের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকে আমরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের সরিয়ে দিয়েছি।"

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর জহির উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পাসের অস্থিতিশীল পরিবেশ শান্ত করার কোন ক্ষমতা কাউকে দেওয়া হয়নি। তাছাড়া ছাত্র ইউনিয়নের উপর হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন প্রকার অনুমতি নেয়নি তাছাড়া অবিলম্বেই তদন্ত কমিটি গঠন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত