১৩ জুন, ২০১৫ ১৫:৫১
এবার আবহাওয়ার তথ্য দিতে সক্ষম একটি ড্রোন তৈরি করে সফল পরীক্ষা চালিয়েছে মেট্রোপলিটন ভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল এণ্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টর একটি দল।
তাদের তৈরি ড্রোনটি আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য লাইভ গ্রাউণ্ড স্টেশনে পাঠাতে পারে। এর গ্রাউণ্ড কন্ট্রোল স্টেশনের সফটওয়্যারটাও তারা তৈরি করেছে। এটি এয়ার কোয়ালিটি , হিউমিডিটি, টেমপার্যাচার, ইউভি ইনডেক্স, বায়ুচাপ সহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম। তাছাড়া এখানে গাইগার মুলার কাউন্টার লাগানোর ব্যাবস্থা আছে। যার ফলে ড্রোনটি নিউক্লিয়ার রেডিয়েশন মাপতে পারবে। এছাড়া এটিতে একটি ড্রপিং ম্যাকানিজম আছে যার ফলে এটি বিভিন্ন জিনিস বহন করতে পারে এবং সঠিক জায়গায় ফেলতে পারে।
ড্রোনটির টেকনিক্যাল বিবরন মেট্টোপলিটন ইউনিভার্সিটির ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়।
এ প্রজেক্টের সুপারভাইজর মেট্রোপলিটন ভার্সিটির ইইই বিভাগের লেকচারার সৈয়দ রেজওয়ানুল হক(নাবিল) এবং টিম লিডার সিএসই বিভাগের আখলাকুজ্জামান আশিক। অন্যান্য সদস্যরা হলেন জীবন চন্দ্র দাশ, আব্দুর রহমান চৌধুরী, রুমন হোসেইন, মিথুন ধর, হাবিবুর রহমান ।
আবহাওয়ার তথ্য সংগ্রহ করতে অনেক সময় অনেক উঁচুতে উঠতে হয়, আবার বড় কোন এরিয়ার বিভিন্ন জায়গার আবহাওয়ার তথ্য নিতে হয়। এ ধরণের কাজে ড্রোণ অনেক কাজে দেয়। এছাড়াও বড় কোন আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের সময় যে সব এলাকায় মানুষের প্রাণনাশের ঝুঁকি থাকতে পারে, সে সমস্ত জায়গায় বাতাসের বিভিন্ন উপাদান ও ক্ষতির বিশদ তথ্য নিতে পারবে। নিউক্লিয়ার রেডিয়েশনও পরিমাপ করতে পারবে।
প্রজেক্টের সুপারভাইজর নাবিল জানান, ড্রোণটি এয়ারকোয়ালিটি, হিউমিডিটি, টেমপারেচার, ইউভি ইনডেক্স ও বাতাসের চাপ পরিমাপ করতে সক্ষম। তাছাড়া এই ড্রোণে গাইগার মুলার কাউন্টার লাগানোর ব্যবস্থা আছে। যার ফলে ড্রোণটি নিউক্লিয়ার রেডিয়েশন মাপতে পারবে। এছাড়াও এতে একটি ড্রপিং ম্যাকানিজম লাগানো আছে, ফলে এটি বিভিন্ন জিনিস বহন করতে পারবে এবং সঠিক জায়গায় ফেলতে পারবে।
তিনি জানান, এই প্রকল্পটি বলা যায় খেলনা বানানোর মতই ছিল। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের হাতে কিছু খেলনাই তুলে দিয়েছিলাম বলা যায়, বলছিলাম দেখো কি করতে পারো। তারা এই খেলনা এবং ড্রোণের বাতিল হয়ে যাওয়া মোটরগুলোকে কাজের উপযোগী করে তুলে এই প্রজেক্ট শেষ করেছে। ভবিষ্যতে তারা আরো অসাধারণ কিছু করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
আপনার মন্তব্য