সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ২১:২৪

ঢাবি ছাত্রকে পিটুনি: ছাত্রলীগের সাত কর্মীকে বহিষ্কারের সুপারিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এহসান রফিকের ওপর হামলাকারী সাত ছাত্রলীগ নেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাতজনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় এটার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা বহির্ভূত কোনো কাজ কেউ করলে তাকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

হামলায় জড়িত সবাই হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেলের অনুসারী ও হল কমিটিতে পদধারী।

এদের মধ্যে হামলায় জড়িত মো. ওমর ফারুককে (মার্কেটিং বিভাগ দ্বিতীয়বর্ষ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পাঁচজনকে দুই বছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃতরা হলেন- সামিউল ইসলাম সামি (সমাজ-বিজ্ঞান দ্বিতীয়বর্ষ), আহসান উল্লাহ (দর্শন বিভাগ দ্বিতীয়বর্ষ), মো. রুহুল আমিন বেপারী (সাংবাদিকতা বিভাগ দ্বিতীয়বর্ষ), মো. মেহেদী হাসান হিমেল (উর্দু বিভাগ, দ্বিতীয়বর্ষ) ও ফারদিন আহমেদ (লোকপ্রশাসন বিভাগ দ্বিতীয়বর্ষ)

হামলায় প্ররোচনার দায়ে মো. আরিফুল ইসলামকে (শিক্ষা ও গবেষণা  চতুর্থবর্ষ) এক বছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং স্থায়ীভাবে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নিজের ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র এহসান রফিককে মেরে রক্তাক্ত করে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। মারধরের কারণে তার একটি চোখে মারাত্মকভাবে আঘাত ক্ষতি হয়।

৫ মার্চ ভিসা পেলে তাকে ভারতের চেন্নাইয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হবে তার বলে তার বাবা রফিকুল ইসলাম জানান। এহসান রফিককে মারধরের ঘটনায় হল প্রশাসন হলের হাউজ টিউটরদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির প্রতিবেদন অনুসারে বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত