০১ মার্চ, ২০১৮ ১৭:১১
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের দায়ে দুই শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিস্কারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) সকাল থেকে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘বিচার চাই, অবিচার নই’, ‘প্রশাসনের স্বৈরাচার, মানি না’, ‘আমার ভাইয়ের জীবন, নষ্ট হতে দিবো না’, প্রভৃতি স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন। আন্দোলনে অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, র্যাগিং এর বিচার হোক তারাও সেটা চান। তবে র্যাগিং এর ঘটনায় আজীবন বহিষ্কার প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বৈরাচারিতা প্রকাশ পায়। তারা দ্রুত এ বিচারকে পুনর্বিবেচনার আহবান জানান।
সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে শিক্ষার্থীদের অবস্থান করার কারণে কোনো যানবাহন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেনি। বেশিরভাগ বিভাগেই কোনো ক্লাস পরীক্ষা হয়নি।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ফেসবুক ইভেন্টের মাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের রেজিস্ট্রি ভবনের সামনে সারারাত অবস্থান কর্মসূচী পালনেরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের তপোবন আবাসিক এলাকার ‘তাফাদার ভিলায়’ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের ছয় নবীন শিক্ষার্থীকে রাত ১০টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত আটকে রেখে অর্ধনগ্ন করে র্যাগ দেয় একই বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের ২০ শিক্ষার্থী এবং পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের ১ শিক্ষার্থী। পরিচয় দেওয়ার নামে তাদেরকে অর্ধনগ্ন করে র্যাগ দেয়াসহ অর্ধনগ্ন না হতে চাইলে একপর্যায়ে মারধরও করা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে জোর করে অর্ধনগ্ন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অশ্লীল ক্যাপশন দিয়ে একটি গ্রুপে পোস্ট করা হয় এবং বেশ কিছু সময় পরে ডিলিট করা হয়। বিষয়গুলো কাউকে বললে তাদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার দেন সিনিয়ররা।
তারই প্রেক্ষিতে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শাবি সিন্ডিকেটের সভায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী হামিদুর রহমান রঙ্গন এবং আশিক আহমেদ হিমেলকে স্থায়ীভাবে বহিস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও ১৯ জনকে দণ্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় শাবি প্রশাসন।
আপনার মন্তব্য