সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ মার্চ, ২০১৮ ১১:৫০

রুয়েটে সংঘর্ষের পর ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত

পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছয়জন ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত হামিদ হলে এ সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।

এ সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হলেন- রুয়েট ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আবিদ হাসান মিতুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফি, প্রচার সম্পাদক মাহাথির, ক্রীড়া সম্পাদক রবিন, ছাত্রলীগকর্মী ইমরান ও রাহাত।

এদের মধ্যে রাহাত রুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি নাইম রহমান নিবিড়ের অনুসারি আর বাকিরা সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপুর অনুসারি। সবাই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রুয়েটের হামিদ হলে যান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির অনুসারী বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা। খবর পেয়ে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরাও অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুতি নেন।

ওই ছাত্রদের হলে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় হলে থাকা আবাসিক শিক্ষার্থীরা ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়েন। প্রায় দেড় ঘন্টা চলা ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে গুরুতর আহত হওয়ায়৬ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই দুই পক্ষের শতাধিক নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে শোডাউন দিলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধা নিয়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যায়ও তারা রুয়েট ক্যাম্পাসে শোডাউন দেন। এসময় উভয় পক্ষেই প্রচুর স্থানীয় বহিরাগত লোকজন ছিলো বলে রুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন জানিয়েছেন। মধ্যরাতে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। তবে কারা এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

সংঘর্ষের পর রাতেই রুয়েট ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।

সংগঠনের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান।

এর আগে র‌্যাগ দেয়াকে কেন্দ্র করে গত ২৩ জানুয়ারি রাতে সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এতে সভাপতি গ্রুপের ১১ জন নেতাকর্মী আহত হয়। সেই ঘটনাও রুয়েটের হামিদ হলেই ঘটে। সেই ঘটনায় সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের হয়ে নেতৃত্ব দেন আবিদ হাসান মিতুল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত