সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ মার্চ, ২০১৮ ১৮:৪৩

লিডিং ইউনিভার্সিটিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

লিডিং ইউনিভার্সিটিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৮ উদযাপন করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ মার্চ) সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সম্মিলিতভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

সকাল সাড়ে ৯টায় দক্ষিণ সুরমায় লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস থেকে স্বাধীনতার ব্যানার, পতাকা, এবং প্লেকার্ড নিয়ে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে ক্যাম্পাস সংলগ্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ রাগীব আলী, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মচারীবৃন্দ স্বাধীনতা শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।

শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় একাডেমিক ভবনের গ্যালারি-১ এ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৮ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ রাগীব আলী স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতিচারণ ও শহীদদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, আমরা আজ স্বাধীন পতাকা পেয়েছি, দেশে শিক্ষা, আর্থসামাজিক, যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে।

তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, সুন্দর দেশ, সমাজ ও জাতি গঠন করতে হলে আমাদেরকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বর্তমান তরুণ সমাজকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি লিডিং ইউনিভার্সিটি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই একদিন দেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে সভাপতির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ এর ২৫ মার্চে পাক-হানাদার বাহিনী নির্বিচারে হত্যা করে এদেশের সাধারণ মানুষদেরকে, তাই ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং তা আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাবারও দাবি রাখে। আমরা গর্বিত, আজ আমরা স্বাধীন মাতৃভূমি পেয়েছি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময়ে। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় সেই গৌরব এবং অহংকারের দিন আজ।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রজন্মকে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট এবং বাস্তবতার সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। স্বাধীনতার ইতিহাস ও মূল্যবোধকে নিজেদের মধ্যে ধারন করতে হবে। আজ আমরা মুক্ত, এটি আমাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে এবং তারই সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে।

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে হলে তরুণ শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব অনেক। তাদেরকে এ দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করার জন্য তিনি আহবান জানান।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক কাজি মো. জাহিদ হাসানের উপস্থাপনা আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন অধ্যাপক মো: নজরুল ইসলাম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস. এম. আলী আক্কাস, কলা এবং আধুনিক ভাষা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. গাজী আব্দুল্লাহেল বাকী, আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুল আহসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ও ইংরেজি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী রাজন রায়।

বক্তারা বলেন, আমরা গর্বিত, আজ আমরা স্বাধীন মাতৃভূমি পেয়েছি, আজ থেকে ৪৭ বছর পূর্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়েই এই দিনে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। রচিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধুর ডাকে জীবনপণ সশস্ত্র লড়াইয়ে ঝাপিয়ে পড়ে বীর বাঙালী, উদিত হয় বাংলার আকাশে স্বাধীনতার চিরভাস্বর সূর্য।

আলোচনা সভায় লিডিং ইউনিভার্সিটির সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা পরবর্তী লিডিং ইউনিভার্র্সিটির মিউজিকেল ব্যান্ড অরফিয়াসের আয়োজনে স্বাধীনতার গান পরিবেশিত হয় এবং লিডিং ইউনিভার্সিটি স্পোর্টস ক্লাবের আয়োজনে এক প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত