সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ এপ্রিল, ২০১৮ ২২:১০

থমথমে ঢাবি ক্যাম্পাস, সংঘর্ষের শঙ্কা

কোটা সংস্কার নিয়ে সরকারের আশ্বাস ও সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীদের একাংশ। এদিকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জড়ো হওয়ায় বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি। অনেকে আশঙ্কা করছেন গতরাতের মত আজও তাদের উপর হামলা হতে পারে। যার ফলে দেখা দিচ্ছে সংঘর্ষের শঙ্কা।

সোমবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে থাকা আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয় সব শিক্ষার্থী আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানোর পর ‘ভুয়া মানি না মানব না’ স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধ সাধারণ আন্দোলনকারীরা।

এসময় পরিষদের আহ্বায়ক বলেন, ‘আপনারা যদি আমাদের সিদ্ধান্ত না মানেন তাহলে আমরা কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সরে যাব। এক মাসে প্রধানমন্ত্রী দুইবার দেশের বাইরে থাকবেন, ক্যাবিনেট মিটিংয়ে আলোচনাটা দেরি হবে বিধায় এক মাস পেছানো হচ্ছে। এক মাসের মধ্যে দাবি আদায়ে কার্যকরী সিদ্ধান্ত না হলে প্রয়োজনে আগামী ৭ মে ফের আন্দোলন।’

সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, আগামী মাসে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা ও রোজা। এই পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে মুলো ঝুলিয়েছে সরকার। আমরা এ সিদ্ধান্ত মানি না। অন্তত কোটা সংস্কারের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

এরপর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি মোড়, শাহবাগ মোড়, সব হলের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। রোকেয়া হলের সামনে লাঠি হাতে অবস্থান নেন ছাত্রীরা। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থান নিয়ে তাদের থামাতে চেয়েছিল সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। কিন্তু আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ধাওয়া দেন। ধাওয়া খেয়ে মলচত্বরে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ। পরিস্থিতি এখনও থমথমে। যে কোনো সময় সংঘর্ষ বাধতে পারে।

তাদের পাঁচ দফা দাবি হলো- কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ না দেয়া, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ না দেয়া, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাট মার্কস ও বয়সসীমা নির্ধারণ করা ও কোটায় যোগ্যপ্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধায় নিয়োগ দেয়া।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত