নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ জুন, ২০১৫ ১৭:০৯

উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন : শাবিতে কামরান, অনড় দুই পক্ষ

উপাচার্যবিরোধী আন্দেলনে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আজ সোমবার সকাল থেকে দিনভর উপাচার্য ড. আমিনুল হক ভূইয়ার অপসারণ দাবিতে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলকারী শিক্ষকরা। বিকেলে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করে আগামীকাল থেকে ফের অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

অপরদিকে, সরকার থেকে নির্দেশনা না আসলে আন্দোলনের মুখে পদ্যত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন আমিনুল হক ভূইয়া। সোমবার শিক্ষকদের একটি অংশও প্রকাশ্যে উপাচার্যের পক্ষে অবস্থান নেন। তাঁরা ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে স্বাগত জানান। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগও উপাচার্যের পক্ষাবলম্বন করে সোমবার ক্যাম্পাসে মহড়া দেয়। দুইপক্ষের এই মুখোমুখি অবস্থানের কারনে ক্যাম্পাসে উত্তপ্ত হয়ে উঠে। সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দেয়।

দুই পক্ষের এই মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে বিকেলে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান শাবি ক্যাম্পাসে যান। তিনি উপাচার্য ও আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সাথে আলাদা আলাদাভাবে কথা বলেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, আজ দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও নিজেদের অবস্থানে অনঢ় থাকার ঘোষণা দিয়েছে দুই পক্ষই। উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনকারী ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের’ শিক্ষকরা আজকের মতো মঙ্গলবারও উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বিকেল ৪ টায় আজকের মতো অবস্থান কর্মসূচী স্থগিত করে মঙ্গলবার ফের অবস্থান নেওয়ার ঘোষনা দেন তারা। এরআগে সকাল ৯ টায় ছুটি থেকে ফেরা উপাচার্যকে নিজ কক্ষে তালাবদ্ধ করে ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন এই শিক্ষকরা।

আন্দোলনচলাকালীন অবস্থায়ই উপাচার্য আমিনুল হক ভূইয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজ অনুসারীদের নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছেন। আজ ছুটি থেকে ফিরেই তিনি প্রোক্টরিয়াল কমিটির অনুমোদন দেন।

বনবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক কামরুজ্জামানকে প্রক্টর  ও লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক সামিউল ইসলাম, গণিতের ওমর ফারুক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইজ্ঞিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক জাহিদ হোসেনকে সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।

বিকেলে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে উপাচার্য আমিনুল হক ভূইয়া জানান, প্রশাসনের অন্য বিভাগেও শীঘ্রই নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হবে।

কারো দাবির মুখে সরে যাবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে। সরকার না চাইলে আমি সরে যাবো।

অপরদিকে, আন্দোলনকারী শিক্ষক সংগঠনের নেতা মোস্তাবুর রহমান জানান, উপাচার্য অপসরিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। মঙ্গলবার আবার উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান নেবেন তারা। তবে তাদের আন্দোলনের কারনে ক্লাস-পরীক্ষায় কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না বলে জানান মোস্তাবুর।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত