০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ২২:২৫
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা্র প্রতিবেদনে প্রকাশিত ছবির তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রফেসর ড. ইয়াসমিন হক। প্রতিবেদনে প্রকাশিত ছবিটিকে 'কুরুচিপুর্ন' আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল তার ফেসবুক পেজে এ বিষয়টি জানান। তিন ফেসবুকে স্ট্যটাসে লেখেন, 'প্রফেসর ইয়াসমীন হক সবার কাছে একটি বক্তব্য দিতে চাইছেন, তার কোনো ফেসবুক একাউন্ট নেই বলে তার অনুরোধে আমি তার বক্তব্যটি এখানে প্রকাশ করছি।'
ইয়াসমিন হকের বরাত দিয়ে জাফর ইবাল স্ট্যাটাসে লিখেন, ৩১আগস্ট প্রথমআলোতে আমার একটা ছবি ছাপানো হয়েছে যেখানে দেখানো হয়েছে আমি আঙ্গুল তুলে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার হোসেনকে “শাসাচ্ছি” এবং তিনি কর জোড়ে ক্ষমা প্রার্থনার ভঙ্গিতে দাড়িয়ে আছেন। আঙ্গুল নাড়িয়ে কথা বলা আমার একটি বদ অভ্যাস এবং সেই সুযোগটি গ্রহণ করে প্রথম আলোএই কুরুচিপূর্ণ ছবিটি দিয়ে জনাব আখতার হোসেনকে যেভাবে অসম্মানিত করেছে সেটি আমাকে অত্যন্ত ব্যথিত করেছে।
প্রকৃতপক্ষে ৩০ আগস্ট জনাব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে একটি মহিলা পুলিশের দল আমাকে রক্ষা না করলে আমি আরও বড় ধরনের আঘাত পেতে পারতাম এবং সেজন্যে তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
প্রথম আলোতে প্রকাশিত ছবিটির জন্যে আমি আজকে জনাব আখতার হোসেনের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। জনাব আখতার হোসেনকে তার প্রাপ্য সম্মান দেয়ার জন্য এবং মহিলা পুলিশের দলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য আমি দুটি ছবি যুক্ত করে দিচ্ছি।
এর আগে ৩০ অগাস্ট শাবিপ্রবিতে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এ সময় অধ্যাপক ইয়াসমীনসহ কয়েকজন শিক্ষক আহত হন।
পরদিন পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় ওই ছবি দিয়ে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রথম আলো। ওই ছবিতে দেখা যায়, অধ্যাপক ইয়াসমীন আঙ্গুল তুলে জালালাবাদ থানার ওসি আখতার হোসেনকে কিছু একটা বলছেন। আর দুই হাত জোড়ে মাফ চাওয়ার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছেন ওসি।
ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়, “শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার হোসেন।”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ সংক্রান্ত স্ট্যাটাস দেন প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
আপনার মন্তব্য