নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:৫৯

আন্দোলনের মুখে সিকৃবির নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) অনুষ্ঠিতব্য ১০ জানুয়ারি (শুক্রবার) এবং ১১ জানুয়ারির (শনিবার) নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জরুরি অফিস আদেশ জারি করে এ নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে জানানো হয় যে, বিভিন্ন বিভাগ/দপ্তর/শাখায় নিয়োগের লক্ষ্যে পূর্বঘোষিত ১০ ও ১১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখের কর্মচারী নিয়োগ ২০১৯ এর সকল পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হলো।

পরীক্ষার পুনঃনির্ধারিত সময়সূচি যথাসময়ে জানিয়ে দেয়া হবে। কর্তৃপক্ষের আদেশক্রমে এ অফিস আদেশ জারি করা হলো।

এই নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলো বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের একটি অংশ।

জানা যায়, গত বছর ১৮ জুন প্রকাশিত ৯৩ জন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১০ জানুয়ারি লিখিত পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী পরিষদ কর্মচারীদের পর্যায়োন্নয়ন নীতিমালা অতিদ্রুত সংশোধন, অভ্যন্তরীণ প্রার্থীদের অতিসত্বর কার্ড ইস্যু করা, শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মচারীদের উচ্চতর পদে প্রমোশনের জন্য অতিসত্বর ইমিগ্রেশন কমিটি গঠন, হাউজ লোন দ্রুত বাস্তবায়ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, কর্মচারীদের পোশাক ভাতা দ্রুত বাস্তবায়ন ও কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা চালু করলে পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগের ক্ষেত্রে পরীক্ষা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশাসনের কাছে বরাবর দাবি জানান কর্মচারী পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

প্রশাসনের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি ও আন্দোলনে নামেন তারা। গত ৬ জানুয়ারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. ছানারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম অন্যান্যদের নিয়ে সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশ কর্মচারীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে তাদের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে পৃথক দাবি জানান।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের ন্যায্য আন্দোলনে ছাত্রলীগ সমর্থন জানাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা কেন শোষণের শিকার হবে এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন তোলেন তারা। ১৯৪৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্মচারীদের যৌক্তিক আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিলেন। একই আদর্শ লালন করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্মচারীদের যৌক্তিক আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ডা. শামীম মোল্লা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ প্রার্থী হয়ে ভাইবা দিলেও সিন্ডিকেটে তার চাকুরি বাতিল হয়। অন্যদের চাকুরি হওয়া সত্ত্বেও তার চাকুরি কেন বাতিল হয় এবিষয়ে প্রশাসনের কাছে জবাব চান তারা।

২০২০ সালে মুজিববর্ষ সারা বাংলাদেশে উদযাপন করার পরিকল্পনা থাকলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কোন কর্মসূচি না নিয়ে কেন নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ওইদিন ঠিক করা হলো এবিষয়ে প্রক্টর সোহেল মিয়া ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মিঠু চৌধুরীর কাছে জানতে চেয়ে আশানুরূপ উত্তর পাননি বলে জানান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এজন্য প্রক্টর কার্যালয় ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দুইজনের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত