শাবি প্রতিনিধি

৩০ জানুয়ারি, ২০২০ ১৪:৪০

শাবিতে সরস্বতী পূজা উদযাপন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) উদযাপন করা হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকে পূজার মণ্ডপগুলোতে অংশ নিতে ভিড় জমান সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। পূজা উপলক্ষে প্রতিটি বিভাগের সামনে স্থাপন করা হয়েছে সরস্বতী প্রতিমা।

এবারে ক্যাম্পাসের মোট ২৬টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন করা হচ্ছে। হিন্দু শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত শিক্ষার্থীরাও যোগ দিয়েছেন।

সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ভোর ৫টায় প্রতিমা স্থাপন, সকাল ৮টায় পূজারম্ব, ৯টায় পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়েছে এবং দুপুর ১২টা থেকে প্রসাদ বিতরণ শুরু হয়। অন্যদিকে সন্ধ্যা ৬টা সন্ধ্যা আরতি এবং ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বাংলাদেশ বেতার টেলিভিশন শিল্পীবৃন্দের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শরদিন্দু ভট্টাচার্য বলেন, অত্যন্ত সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপিত হচ্ছে। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার পূজার সংখ্যা আরো বেড়েছে। তাতেই মনে হচ্ছে পূজার প্রতি সবার আগ্রহটা আরো বাড়ছে।

তিনি বলেন, পূজার মণ্ডপগুলো ছোট ছোট না করে যদি সবাই মিলে দু’একটি পূজার মণ্ডপ করতো তাইলে ঝাঁকজমক হয়ে পূজার আনন্দটা আরো বেশি বাড়তো।

কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার বলেন, আমরা মনে করি এই পূজার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এখানে কোনো ধরনের ধর্মীয় বিদ্বেষ থাকতে পারে না। এই পূজার মাধ্যমে আমরা বিদ্যাদেবীর যে আদর্শ তাই প্রত্যাশা করি। যেন আমরা বিদ্যা অর্জনে দেবী সরস্বতীর আদর্শকে অনুসরণ করতে পারি।

পূজা দিতে আসা লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয়  বর্ষের শিক্ষার্থী নির্ণয় রয় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটি সার্বজনীন স্থান। এখানে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ না করার শিক্ষাই এ পূজা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। দেশের প্রতিটি মানুষ অসাম্প্রদায়িকতা, অজ্ঞানতার অন্ধকার, কূপমণ্ডূকটা আর অকল্যাণকর সকল বাধা পেরিয়ে একটি উন্নত সমাজ গঠনে এগিয়ে আসবে-এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত