
০৭ জুন, ২০২৪ ২৩:৩৭
কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী (১৯১২-১৯৬৬) বিগত শতকের তিরিশ ও চল্লিশের দশকে সিলেট ও কাছাড় অঞ্চলের পাঠকের কাছে ব্যাপক সমাদৃত এক কবির নাম। তিনি অনেক গানও রচনা করেছেন। সনেট লিখেছেন হাজারের অধিক।
তাঁর গীতিকবিতা ‘তসবিহ রেখে দূরে তলোয়ার হাতে নাও/ আল্লাহর রাহে জান কুরবান দাও দাও’ কিংবা সিলেটি উপভাষায় লেখা গান “ওগো সজনী গোয়া গাছো ট্যাক্সো লাগিলো নি/ বাটার উফর ফইলো ঠাটা গাল ভরি ফান খাইতায়নি” ইত্যাদি পাঠক শ্রোতাকে আন্দোলিত করেছিল, তিনি হচ্ছেন বর্তমান প্রজন্মের কাছে অপরিচিত প্রায় ব্যতিক্রমী এক কবিসত্বা আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী।
কবির ১১২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে নির্বাচিত কবিতা-র প্রকাশনা, শিশুদের মধ্যে সংগীত প্রতিযোগিতা, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনানয়তনে শুক্রবার (৭ জুন ২০২৪)। কবির ১১২তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি।
কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী কবিতা, সনেট লিখেছেন, লিখেছেন গান। জানা যায়, কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী ছয় শতাধিক গান রচনা করেছিলেন। তবে, কবিতাই ছিল তাঁর সিগনেচার আইডেনটিটি বা মূখ্য পরিচয়। এটাই ছিল তাঁর চারণভূমি। অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী ও ড. মোস্তাক আহমাদ দীনের মতো সমালোচকের ভাষায়, 'কবিতাই ছিল তাঁর সৃজন-আনন্দের কেন্দ্রস্থল।'
কবিতার সৃজন-আনন্দই আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরীকে সংগীতের জগতে আকৃষ্ট করেছিল। তাহলে দেখা যায় কবির সাহিত্য প্রতিভার চারটি স্তম্ভ রয়েছে। প্রথমত, তিনি কবি। অজস্র কবিতা লিখেছেন। মৃত্যুর আগে ৫০টি অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি রেখে গেছেন। তবে জীবদ্দশায় তাঁর কোনও কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। দ্বিতীয়ত, সনেট কবিতার অংশ হলেও তার নিজস্ব একটা ‘স্বায়ত্তশাসন’ আছে, এই অর্থে তিনি একজন সনেটকার। হাজারের অধিক সনেট লিখেছেন। তৃতীয়ত, তিনি একজন গীতিকার। চতুর্থত, তিনি লোক-গবেষক ও সংগ্রাহক। তাঁর রচনার বিশেষ দিক হল, কবিতা, সনেট লিখেছেন প্রমিত বাংলায়, গান লিখেছেন আঞ্চলিক ভাষায়। তিনি বিশ্বমানব ও লোকজ মানব- দুই সত্ত্বাকেই বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করার অসাধারণ এক কর্মপ্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন, সফলও হয়েছিলেন। আমার প্রশ্ন হল, এত প্রতিভাধর কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরীর তৎকালীন বাংলা সাহিত্যের মূল স্রোতধারায় কেন মূল্যায়ন হয়নি যেমনটি হয়নি ‘দেবীযুদ্ধ’ কাব্যের খ্যাতিমান রচয়িতা সিলেটের বালাগঞ্জের কবি শরচ্চন্দ্র চৌধুরীর। সুতরাং বলা যেতেই পারে, সংক্ষিপ্ত জীবনে কবির সীমাহীন সৃষ্টির পরও তাঁর মূল্যায়ন সীমিত পর্যায়ে রয়ে গেছে।
আগেই বলেছি, জীবদ্দশায় তাঁর রচনা ততটুকু প্রকাশিত হয়নি যতটুকু ছিল তাঁর অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি। গান, সনেট, কবিতার এক অসাধারণ সংগ্রহ! মাত্র চুয়ান্ন বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তার আগে শিশুপুত্রকে আলমিরা খুলে দেখিয়েছিলেন কী রেখে যাচ্ছেন। সেই শিশুপুত্র আলী মোসতাফা চৌধুরী ষাট বছরেরও বেশি সময় পর গত বছর পিতা আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরীর স্মৃতিতর্পণ করেছেন তাঁর সনেটসমগ্র প্রকাশ করে। এটি প্রায় এক হাজার সনেটের সমগ্র। ২০২৩ ফেব্রুয়ারি মাসে অর্থাৎ একুশে মেলায় তা প্রকাশিত হয়। সনেটসমগ্রটি সম্পাদনা করেন সিলেট মদনমোহন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ।
সিলেটের অভিজাত প্রকাশনা সংস্থা ‘নাগরী’ থেকে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এর আগে ২০১৮ সালে ‘উৎস’ প্রকাশন থেকে ভীষ্মদেব চৌধুরী, লীনা তাপসী খান ও আলী মোসতাফা চৌধুরীর সম্পাদনায় 'নির্বাচিত গান' নামে স্বরলিপিসহ একটি গানের সংকলন বের হয়। এইবার ২০২৪ সালে কবির নির্বাচিত কবিতা প্রকাশিত হয়। যৌথভাবে সংকলন ও সম্পাদনা করেন অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী ও ড. মোস্তাক আহমাদ দীন। প্রকাশক ‘চৈতন্য’। বিগত কয়েক বছরে প্রকাশিত এই তিনটি কাজই অত্যন্ত শ্রমসাধ্য । আগামীতে কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরীর মূল্যায়নে প্রকাশিত এই গ্রন্থগুলো মাইলফলক হয়ে থাকবে।
কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরীর সনেটের বৈশিষ্ট্য মূল স্রোতধারার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। মাইকেল মধুসূদন দত্ত থেকে রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ থেকে আধুনিক কবিদের সনেট বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। পরবর্তী সনেটকারদের মধ্যে কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী। দেখা যায়, মাইকেল মধুসূদন দত্ত যে বিদেশী সাহিত্যফুলের চারা বাংলা সাহিত্যের বাগানে লাগিয়েছিলেন তার চরম উৎকর্ষ লাভ করে রবীন্দ্রনাথের হাতে। ইংরেজি সাহিত্যের মতোই বাংলা সাহিত্যের সনেট প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই কলাকৃতি তেমন জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি। ওয়াট ও সারের প্রায় পঁচিশ বছর পরে ইংরেজি সাহিত্যে ফিলিপ সিডনি গীতিকাব্যের অন্যতম মূখ্যবাহন হিসেবে সনেটকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। বাংলা সাহিত্যে সনেট প্রবর্তনের প্রায় কুড়ি বছর পরে রবীন্দ্রনাথের সাধনায় এই কলাকৃতি বাংলা সাহিত্যে পূর্ণমর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়। রবীন্দ্রনাথ পেত্রার্কীয় বা শেক্সপীরিয় কোনও বিশেষ ধারার ধার ধারেননি। তিনি বিচিত্র পরীক্ষানীরিক্ষার মাধ্যমে নিজস্ব ধারা প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন ।
কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী বিধিবদ্ধভাবে চরণ ও মাত্রার আবশ্যকতা থেকে বিচ্যূূত হননি। আরেকটি বৈশিষ্ট্য ছিল, প্রতিটি সনেটের নীচে রচনার স্থান ও সময়ের উল্লেখ করেছেন। তাঁর সনেটগুলোর বিষয়ের বৈচিত্র্য একটা বিশেষ দিক। বহুমাত্রিক বিষয় ছিল তাঁর বিবেচনায়। শুধু বাংলা সাহিত্য নয়, বিশ্বসাহিত্যের আর কোনও ভাষায় একক কোনও কবি হাজারের উপর সনেট লিখে যাননি যেটা সম্ভবপর হয়েছে কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরীর তুলনামূলক এক সংক্ষিপ্ত জীবনে। মাত্র ৫৪ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সিলেটের লোকজসংগীত সংগ্রহ নিয়ে কিছু কথা বলতে হয়। গুরুসদয় দত্ত ও আবদুল গফ্ফার ছিলেন অভিন্ন বংশধারার উত্তরপুরুষ। ঐতিহ্যগর্বী আবদুল গফ্ফার আদি বংশগৌরব ধারণ করার সদিচ্ছা থেকেই নিজের নামের পদবিতে ‘দত্ত’ ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। গুরুসদয় দত্তের ব্যাপক পরিচিতি, সুখ্যাতি ও সাংস্কৃতিক-সাহিত্যিক বিষয়ধর্মীমনষ্কতা সম্পর্কে অবহিত ছিলেন আবদুল গফ্ফার । ফলে তাঁর সঙ্গে তিনি স্থাপন করেছিলেন যোগাযোগ। জানা যায়, গুরুসদয় তাঁকে যুক্ত করেছিলেন ব্রতচারী অন্দোলনের সঙ্গে এবং পরে দায়িত্ব দিয়েছিলেন সিলেট অঞ্চলের সমৃদ্ধ লোকসংগীত সংগ্রহের। শ্রমনিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় আবদুল গফ্ফার ওই দায়িত্ব পালন করেছিলেন; সমগ্র সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে ঘুরে তিনি সংগ্রহ করেছিলেন লোকগানের বিপুল সম্ভার।
সংগৃহীত গানের ওই সংকলন গ্রন্থাকারে প্রকাশের জন্য কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমাও দিয়েছিলেন গুরুসদয়। কিন্তু ১৯৪১ সালে তাঁর জীবনাবসান ঘটলে গ্রন্থটি প্রকাশের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। দীর্ঘকাল পর ১৯৬৬ সালে গুরুসদয় দত্তের সঙ্গে নির্মলেন্দু ভৌমিকের নাম সহযোগে গ্রন্থটি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত হয়। দুর্ভাগ্যবশত, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই প্রকাশনার সম্পাদক-সংকলক-সংগ্রাহকের নামপত্রে কিংবা নির্মলেন্দু ভৌমিকের ভূমিকা-পৃষ্ঠার কোনও স্থানেই সংগ্রাহক হিসেবে নামোল্লেখ হয়নি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরীর। তবে নির্মলেন্দু ভৌমিকের ইচ্ছাতেই এমনটি হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। অন্য কোনও অজুহাতের কোনও সুযোগ নেই। আসলে নির্মলেন্দু ভৌমিকই তা দেননি, সোজা হিসাব। আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরীর অবদানকে অস্বীকার করার মানসিকতার নিন্দা জানাই। অবশ্যই বলতে হয়, কাজটা ভালো হয়নি। কলিকাতা অঞ্জলি পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত “প্রান্ত- উত্তরবঙ্গের লোকসঙ্গীত” এরও ভূমিকা ও সংকলন লিখেছিলেন ড. নির্মলেন্দু ভৌমিক। এত বড়ো বড়ো এলাকায় কি তিনি একাই এ কাজগুলো করেছেন? তবে বাঙালি লেখকরা এমন করে থাকেন। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও এর ব্যতিক্রম নন। ‘বিশ্বপরিচয়’ শীর্ষক গ্রন্থটি প্রমথনাথ সেন ও রবীন্দ্রনাথের যৌথ নামে প্রকাশিত হওয়া বাঞ্চনীয় ছিল কিন্তু শুধু কবির নামেই হয়েছে। এই গ্রন্থের উৎসর্গপত্রে রবীন্দ্রনাথ প্রমথনাথের ঋণ স্বীকার করে লিখেন, “তিনি শুরু না করলে আমি সমাধা করতে পারতাম না, তা ছাড়া অনভ্যস্তপথে শেষ পর্যন্ত অব্যবসায়ীর সাহসে কুলাত না। তাঁর কাছ থেকে ভরসাও পেয়েছি, সাহায্য পেয়েছি।” তবে এটা বলেলনি প্রমথনাথ শুরু করে কতদূর এগিয়েছিলেন আর কোন জায়গায় গিয়ে থেমে গিয়েছিলেন। আর আসলে তিনি বা কোন জায়গা থেকে এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। আসলে পুরো পাণ্ডুলিপিই প্রস্তুত করেছিলেন প্রমথনাথ। সেখানে আমূল পরিবর্তন ও সম্পাদন সাধিত হয় রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক। সিলেটে রাধারমণের গানের দুইজন সংগ্রাহকের অভিন্ন বয়ান। কে কারটা কী করেছেন ধারনা করতে অসুবিধা হয়।
কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরীর কবি নজরুল ঘনিষ্ঠতার সন্ধান পাওয়া যায়। এর পর আন্তরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হন কবি জসিমউদ্দীন, কবি আব্দুল কাদির, বেনজীর আহমেদ, হুমায়ূন কবীর, ফররুখ আহমেদ, আবু জাফর শামসুদ্দীন, সুফিয়া কামাল, আলিম হোসেন প্রমুখের সাথে। কিন্তু কবি আবদুল গফফারের রবীন্দ্র ঘনিষ্ঠতা বা সান্নিধ্যের সন্ধান পাওয়া যায় না। অথচ তাঁর কুলভাই গুরুসদয় দত্ত ছিলেন রবীন্দ্রনাথের অত্যন্ত কাছের লোক। তিনি কি একবার কবি আবদুল গফ্ফারকে রবীন্দ্রনাথের কাছে নিয়ে যেতে পারতেন না? নিয়ে গিয়ে বলতে পারতেন না যে, ইনি হচ্ছেন কবি আবদুল গফ্ফার, সনেট লিখেন, গান লিখেন, কবিতা লিখেন। আমার জ্ঞাতিভাই, কুলভাই, এক গোষ্ঠীর। তিনি এসেছেন আপনার সাথে দেখা করতে (বা তাঁকে নিয়ে এসেছি আপনার সাথে দেখা করাতে) অথবা আপনার আশীর্বাদ নিতে (ওই সময়ের বা সব সময়ের সাম্মানিক ভাষ্য)। গুরুসদয় দত্তের মতো রবীন্দ প্রভাবে আলোকিত ব্যক্তিত্বের এহেন উদাসীনতা আমাদের নিদারুণ মনোকষ্টের কারণ হয়ে আছে। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবেই উত্থাপন করলাম। রবীন্দ্রনাথের সাথে কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরীর সাক্ষাৎ ঘটলে কী হত তা মনিপুরি নৃত্যের অবস্থান দেখলেই অনুমান করা যায়। কবি আবদুল গফ্ফার আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতেন, এগিয়ে যেত বাংলা সনেট তথা বাংলা সাহিত্য। তবে সবকিছুর পরেও বাংলা সনেটের মুকুুটহীন সম্রাটের নাম কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরী ।
কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরীর মূল্যায়নের যাত্রা শুরু হয়েছে। আশা করব, এই প্রচেষ্টা পূর্ণমাত্রা লাভ করুক। কবির মূল্যায়নে তাঁর পুত্র ও পরিবারের সম্পৃক্ততার মাত্রা যত কমতে থাকবে, কবির মূল্যায়ন ততটাই সিদ্ধি লাভ করবে। অর্থাৎ সাহিত্যানুরাগী সাধারণকেই অধিকতর উদ্যোগী হতে হবে। এই দায় পালনে সাহিত্যানুরাগী মহল সচেষ্ট রয়েছেন বলেই বিশ্বাস করি।
কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরীর আদিনিবাস জকিগঞ্জের বাদে কুশিয়ারকুল পরগণার বাগরসাঙ্গন গ্রামে। এই পরগণারই মাইজগ্রামে (বর্তমান করিমগঞ্জ) আমার মামারবাড়ি, নদীর এইদিক, ওইদিক। কবির অবস্থান বিবেচনায় কবি আমার আত্মীয়, মাতুল।
মাতুল কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরীর স্মৃতির প্রতি আবারও গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি।
মিহিরকান্তি চৌধুরী : লেখক, অনুবাদক ও নির্বাহী প্রধান, টেগোর সেন্টার, সিলেট এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, সিলেট।
আপনার মন্তব্য