ড. সরদার এম. আনিছুর রহমান

১৫ মার্চ, ২০১৫ ১৭:১০

আন্তর্জাতিক ভোক্তা অধিকার দিবস ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনেক আগে থেকেই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন রয়েছে। তারা বহুদিন থেকেই এধরনের আইন বাস্তবায়নের সুফল পেয়ে আসছে। একটি কার্যকর ভোক্তা আইনের ফলে সেসব দেশে জনস্বার্থ তথা ভোক্তা অধিকার আজ একটি প্রতিষ্ঠত বিষয়। ব্যবসা-বাণিজ্য তথা ভোক্তা অধিকারের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার। দাম দিয়ে ভেজাল পণ্য ও সেবা ক্রয়ের কথা অনেক দেশে আজ কল্পনাও করা যায় না।

১৫ মার্চ আন্তর্জাতিক ভোক্তা অধিকার দিবস। এবার এই দিবসের প্রতিপাদ্য হলো-‘স্বাস্থ্যকর খাদ্য ভোক্তার অধিকার’। কিন্তু আজও যে দেশে হাজারো মানুষ অভুক্ত তথা অনাহারে-অর্ধাহারে থাকেন, যে দেশে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নে পেট্রোলবোমা কিংবা আইন-শৃংখলা বাহিনীর নির্বিচার গুলিতে প্রতিনিয়ত মানুষের জীবন ঝরছে, সেখানে তাদের কাছে এ দিবস আর এই স্লোগান যেন অর্থহীন।কবি সুকান্তের ভাষায়- ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়/পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি’।

১৯৯১-৯২ সালে ১১ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ অর্থাৎ ৬ কোটির কিছু বেশি মানুষ দরিদ্র ছিল। ২০১১ সালের পঞ্চম আদমশুমারি এবং সরকারি হিসাবমতে, পরবর্তী প্রতি বছর কমপক্ষে ২০ লাখ জনসংখ্যা বৃদ্ধি ধরে বর্তমানে দেশে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি। সরকারি হিসাবমতে, দরিদ্র জনসংখ্যা ২০১০ সালে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসে। এ হারে বর্তমানে দেশে পৌনে পাঁচ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে।( তথ্য সূত্র: দৈনিক বনিক বার্তা, মে ২৬, ২০১৪)

এছাড়া যে দেশ নকল-ভেজালের স্বর্গরাজ্য- রাজনীতিতে ভেজাল, সংবিধানে ভেজাল, মন্ত্রী-এমপিতে ভেজাল, বিচারকে ভেজাল (বিচারক ফেন্সিডিল বহন করেন), শিক্ষায়-শিক্ষকতায় ভেজাল(শিক্ষক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন), চিকিৎসায় ভেজাল (অবহেলায় রোগীর মৃত্যু) আর সেখানে নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর খাদ্যের সন্ধান কতটা যৌক্তিক তা অবশ্য প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়। কিন্তু এরপরও মানুষের চাহিদা ভেজালমুক্ত পণ্যের সন্ধান থাকবেই চিরকাল।

কিন্তু দারিদ্র-অশিক্ষার কারণে আমাদের দেশের বেশীর ভাগ অসচেতন ভোক্তার নিরবতা ও নির্লিপ্ততায় অসাধু ব্যবসায়ীরা খাদ্যে-পণ্যে বিষাক্ত ক্যামিকেল দিয়ে খাবারকে বিষে পরিণত করে জনগণেরর পকেট কেটে টাকার পাহাড় গড়ছে অনায়াসেই ।দুর্নীতিগ্রস্ত আর রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নের দেশে এর প্রতিকারই বা কতটুকু?

এরপরও ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ ও তাদের অধিকার রক্ষায় একটি কার্যকর আইন প্রণয়নের দাবি ছিল দীর্ঘ দিনের। তারই প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালে প্রণয়ন করা হয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯। আইনটি প্রণয়নের ফলে ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও ভোক্তা তথা জনগণ এর সুফল পেতে শুরু করেছে।আগে যেখানে অসাধু ব্যবসায়িরা প্রকাশ্যেই পণ্যে ভেজাল মেশাতেন, আজ সেখানে কিছুটা হলেও রাগঢাক করা হচ্ছে।

‘ভোক্তা অধিকার’ এটা নতুন কোনো বিষয় নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনেক আগে থেকেই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন রয়েছে। তারা বহুদিন থেকেই এধরনের আইন বাস্তবায়নের সুফল পেয়ে আসছে। একটি কার্যকর ভোক্তা আইনের ফলে সেসব দেশে জনস্বার্থ তথা ভোক্তা অধিকার আজ একটি প্রতিষ্ঠত বিষয়। ব্যবসা-বাণিজ্য তথা ভোক্তা অধিকারের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার। দাম দিয়ে ভেজাল পণ্য ও সেবা ক্রয়ের কথা অনেক দেশে আজ কল্পনাও করা যায় না। লাইসেন্স বাতিলতো আছেই, সেই সাথে আছে ফৌজদারি দণ্ড। তাই আইনের বাস্তবায়নটাই বড় কথা।

প্রসঙ্গত, ভোক্তা অধিকার আইন প্রণয়নের ৫ বছর পরও আইনি দুর্বলতায় ও প্রচারণার অভাবে সুফল মিলছে না। ভোক্তা অধিকার লংঘনের দায়ে কোথায় কিভাবে অভিযোগ করতে হবে- এ সম্পর্কে জানা না থাকার কারণে ভোক্তারা অধিকার লংঘনের ব্যাপারে অভিযোগ করতে পারছে না। অনেকে সচেতন না হওয়ার কারণেও অভিযোগ করছে না। ভোক্তা অধিকার লংঘন ঠেকাতে প্রতিষ্ঠিত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কার্যক্রম কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। ফলে ভোক্তারাও এর কোনো সুফল পাচ্ছে না।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হচ্চে, আইনে তাদের যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন করার মতো জনবল নেই। ফলে তারা ইচ্ছে থাকলেও অভিযান পরিচালনা করতে পারছে না। এছাড়া ভোক্তাদের পক্ষ থেকেও অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে খুবই হতাশাব্যঞ্জক ।

যতদূর জানা যায় তাতে, দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের বাস্তবায়ন শুরু হয় ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল থেকে। ওই সময় থেকে ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সাড়ে চার বছরে এ প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ জমা পড়ে মাত্র ১০৯টি। এসব অভিযোগের সবকটিই নিষ্পত্তি করেছে নিয়ন্ত্রণকারী এ প্রতিষ্ঠান। এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ও সতর্ক করা হয়েছে। ( দৈনিক যুগান্তর, ১২ নভেম্বর, ২০১৪)

এবার ধরা যাক, কেউ বাজারে পণ্য কিনতে গেছেন। কোনো না কোনোভাবে প্রতারিত হয়েছেন। কিন্তু কাকে জানাবেন সেই অভিযোগ? এক্ষেত্রে সমস্যার সমাধানে হলো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯। এ আইনে সহজেই পাওয়া যেতে পারে পণ্যে ভেজালের প্রতিকার।

যে সব কারণে আইনের আশ্রয় যেতে পারে:
যেসব কারণে ভোক্তা আইনের নিতে পারেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে,- বিক্রেতা যদি পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করে- মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা- সেবার তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা- অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা, ভেজাল পণ্য বিক্রয়, খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, –অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন- মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা প্রতারণা- প্রতিশ্রুত পণ্য সরবরাহ না করা- ওজনে ও পরিমাপে কারচুপি- দৈর্ঘ্য পরিমাপের ক্ষেত্রে গজ-ফিতায় কারচুপি- নকল পণ্য প্রস্তুত- মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয় করে।

কীভাবে আইনের আশ্রয় নেয়া যেতে পারে:
আমাদের ভোক্তা অধিকার রক্ষার জন্য রয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। কারণগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি কারণে যে কেউ যেদিন প্রতারণার শিকার হবেন সেদিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তার নাম, পিতা ও মাতার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ফ্যাক্স ও ই-মেইল (যদি থাকে) উল্লেখ করে এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ঢাকার কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে অবস্থিত) মহাপরিচালক কিংবা অধিদপ্তরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন না করলে অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে এই আইনের অধীনে আদালতে সরাসরি কোনো মামলা যায় না। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তসাপেক্ষ মামলা শুধু ভোক্তা অধিদপ্তর করতে পারবে। ঢাকা জেলার বাইরে এবং যেসব জেলায় অধিদপ্তরের শাখা নেই সেসব জেলায় এই আইনে মহাপরিচালককে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর ন্যস্ত থাকবে। ভোক্তার ক্ষতি যদি আর্থিক মূল্যে নিরূপণযোগ্য হয়, তবে ক্ষতিপূরণ দাবি করেও যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করতে পারবেন। আদালত ক্ষতিপূরণ প্রদান ছাড়াও পণ্যের প্রতিস্থাপন বা ফেরত দিয়ে পণ্যের দাম ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন। এ ছাড়া অভিযোগ করার পর তদন্তে অভিযোগটি প্রমাণিত হলে জরিমানা হিসেবে যে টাকা আদায় করা হবে, তার শতকরা ২৫ ভাগ টাকা ভোক্তা পাবেন। এ ছাড়া তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুসারে প্রত্যেক ভোক্তার তাঁর সেবা সম্পর্কে জানার অধিকার রয়েছে।

ভোক্তা অধিকার আইনে শাস্তি:
এসব অপরাধের শাস্তি অনূর্ধ্ব তিন বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক দুই লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে দণ্ডিত ব্যক্তি একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে তিনি বর্ণিত দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

আইন যতই কঠোর এর চর্চা ও প্রয়োগ না থাকলে অর্থহীন। জীবনের নিরাপত্তা কিংবা কাজের নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেক ভোক্তার অধিকার রয়েছে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে পাওয়ার। আমরা সবাই কোনো না কোনো পণ্য বা সেবার ভোক্তা বা গ্রহীতা। তাই আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। ভোক্তার অধিকার রক্ষায় সরকার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন করেছে। সেই আইন কার্যকরে জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে।

আজকাল প্রায়ই দেখা যায় প্রতিশ্রুত সেবা প্রদানে অবহেলা, দায়িত্বহীনতা বা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিক সেবা না দেয়ার কারণে প্রায়ই জীবনহানি ঘটছে। জীবনহানির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা প্রতিক্রিয়া দেখালে বা সুবিচার চাইলে এসব অসাধু সেবাদাতারা সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করছে বা সামগ্রিকভাবে অন্য সেবা গ্রহীতাদের সেবাদানে বয়কট করছে। আমরা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে মেডিকেলে, বাস, লঞ্চ-স্টীমারের ক্ষেত্রে এসব সমস্যার সম্মুখীন হই। এটা মূলত: আইন মান্য না করা এবং সামগ্রিকভাবে আমাদের জাতীয় দীনতা, হীনতার বহিঃপ্রকাশ বৈকি। একজন চিকিৎসক কিংবা অন্য কোনো সেবাদাতাকে যে অপরাধের জন্য তার লজ্জা পাওয়া উচিত ছিল, ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল, তা না করে সে ঔদ্ধতপনা করছে, আস্ফালন করছে, হুমকি দিচ্ছে, ক্ষেত্রবিশেষে বিভিন্ন ধরনের শক্তির ছত্রচ্ছায়ায় সে দ্বিগুণ হারে অপরাধ করছে। এর সবকিছুই আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

এক তথ্য মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে পাঁচ কোটি লোক খাদ্য বিষক্রিয়ায় ভুগছে। রাজধানী ঢাকার পঞ্চাশ থেকে ষাট ভাগ সবজিতেই বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মিশানো থাকে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ৭৬টি খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে যার চার ভাগের তিন ভাগ নমুনায় ভেজাল পায়।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে অ্যালোপ্যাথিক ঔষধ কোম্পানি ২৪৬টি, আয়ুর্বেদিক কোম্পানি ২২৪টি, ইউনানি কোম্পানি ২৯৫টি, হোমিওপ্যাথিক প্রতিষ্ঠান ৭৭টি সহ মোট ৮৪২টি ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট তৈরি করছে ১০৬টি প্রতিষ্ঠান। ৪০ থেকে ৫০টি ব্যতীত বাকি কোম্পানিগুলো নকল, ভেজাল ও ন্নিমানের ঔষধ তৈরি করছে। বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখেছেন নকল ও ভেজাল ঔষধের অনেকগুলোর মধ্যে কোনো কেমিকেল উপাদান নেই। ময়দা দিয়ে তৈরি করা হয় এসব ঔষধ।

এসব অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, কারচুপি, মানহীনতা প্রতিরোধে একাধিক আইন রয়েছে। সর্বশেষ সরকার ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন করেছে। আলোচিত প্রত্যেকটি অপরাধের জন্য এ আইনে জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে, জেল-জরিমানা করাও হচ্ছে। অপরাধের তুলনায় জেল-জরিমানা করা হয় অতি নগণ্য।ফলে ওদের দৌরাত্ম প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না।তাই শুধু আইন প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, চাই আইনের যথাযথ কার্যকারিতায় সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছা।

সবশেষে বলবো- গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে জনতাই সব শক্তির উৎস। ফলে যতদিন এই শক্তির উৎস থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলা না হবে ততদিন এই দেশে সবকিছুতে দুর্বৃত্তায়ন চলতেই থাকবে। ধরা যাক, আমরা ভেজাল পণ্য না কিনলে উৎপাদনকারী কোম্পানি যত বড়ই হোক না কেন একদিন তাকে পথে বসতেই হবে। আসুন, আমরা ভোক্তার অধিকার বিষয়ে সচেতন হই, ভেজালমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি। সেই সাথে ভেজালের বিরুদ্ধে সচেতন ও সোচ্চার হই।

 

লেখক: শিক্ষা ও সমাজ বিষয়ক গবেষক

ইমেইল: [email protected]

আপনার মন্তব্য

আলোচিত