সাব্বির খান

২৪ মার্চ, ২০১৫ ১৭:৩৬

২৫ মার্চ হোক ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’

২০১৫ সাল, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ৪৪তম বছর। প্রতিবছর এই মাসটি ঘিরে থাকে বিভিন্ন উৎসব আর আয়োজন। ঢাকায়, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা শহরের গণ্ডি ছাড়িয়ে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। সব জায়গায় একযোগে হয় স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের এক মহাযজ্ঞ। শুধু বাংলাদেশে কেন, সীমান্ত পেরিয়ে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা বাঙালি সমাজের বিভিন্ন সংগঠন স্বাধীনতার মাস পালন করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। একদিকে স্বাধীনতা ঘোষণা, অন্যদিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে। বাঙালির হৃদয়ের গভীরে বপণ করা যে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা, তাকে অঙ্কুরে বিনাশ করতে একাত্তরের ২৫ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর দ্বারা হয়েছিল বিশ্ব-ইতিহাসের এক নজিরবিহীন গণহত্যা। এ কারণেই মার্চ বাঙালির জীবনে একটি আনন্দের মাস হলেও একই সাথে তা গভীর বেদনারও।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলেছিল প্রায় ছয় বছর। এই দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধে মানুষ নিহত হয়েছিল প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কোটি। ত্রয়োদশ শতকে মঙ্গোলদের যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ছিল প্রায় চার কোটি। প্রথম মহাযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০ লাখ। ভিয়েতনাম যুদ্ধে মারা গিয়েছিল প্রায় ৩৬ লাখ মানুষ। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত হয়েছিল ৩০ লাখ বাঙালি। স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধীরা তাদের নিয়মতান্ত্রিক অপপ্রচারের অংশ হিসেবে নিহতের সংখ্যাকে ভুল বলে প্রচারের চেষ্টা চালাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ বিজয়ের পরে তৎকালিন সোভিয়েত ইউনিয়নের সংবাদসংস্থা ‘তাস’ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় তদন্ত করে মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ লাখ বলে রিপোর্ট করেছিল। সেসময়ে বাংলাদেশ সরকারের সমীক্ষায়ও নিহতের এই সংখ্যাটিই উল্লেখ করা হয়েছিল। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণায় উল্লেখিত সংখ্যায়ও নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ৩০ লাখ। ১৯৭১ এর ২৫ মার্চের কালো-রাতে শুধু ঢাকায় নিহত হয়েছিল ১০ হাজার থেকে ১ লাখ (সিডনির ‘মর্নিং হেরাল্ড’, ২৯ এপ্রিল, ১৯৭১)। নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছিল ১০ হাজার নিহতের কথা (২৯-৩-৭১)।

বিশ্বে স্বীকৃত বৃহৎ পাঁচটি গণহত্যার কথা সর্বজনবিদিত। বাংলাদেশে পাক-হানাদার বাহিনী দ্বারা সংঘটিত একাত্তরের গণহত্যাটি সবচেয়ে বৃহত্তর এবং ঘৃন্যতম। এই নৃশংসতার মাত্রা ছিল এতটাই ভয়াবহ যে, 'দ্য স্পেক্টেডের মতো স্বনামধন্য পত্রিকাও তখন এই গণহত্যাকে হিটলারের গ্যাস চেম্বারে হত্যার সাথে তুলনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। হিরোশিমার পারমাণবিক বোমায় হত্যাকাণ্ডের চেয়েও বাংলাদেশের ঘটিত গণহত্যা ছিল অনেক গুণ বেশি ভয়াবহ, বলে মত দিয়েছিলেন পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী আলফ্রেড কাষ্টলার। দ্য হংকং স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকা বাংলাদেশের গণহত্যা বিষয়ক এক রিপোর্টে ইয়াহিয়া খানের নির্মমতাকে চেঙ্গিস খানের নির্মমতার চেয়েও অধিক গুণ বেশি এবং ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছিল (২৫-৬-৭১)। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ যখন চলছিল, ‘সেন্ট লুইস পোষ্ট’ নামের আমেরিকার এক সংবাদপত্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পোল্যান্ডে নাৎসীদের গণহত্যার পর বাংলাদেশের গণহত্যাকে সবচেয়ে নৃশংস বলে রিপোর্ট করেছিল (১-৮-৭১)। ১৯৭১ এর ৩০ জুন সিডনি শ্যানবার্গ নামের নিউইয়র্ক টাইমসের এক সাংবাদিককে বাংলাদেশ থেকে বহিস্কারের পরে তিনি নয়াদিল্লী এসে বলেছিলেন, প্রথম তিন মাসেই পাকিস্তানী সেনাবাহিনী প্রায় আড়াই লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছিল। বিখ্যাত বৃটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিং বলেছিলেন, ২৫ মার্চ তিনি ঢাকায় অবস্থান করে যে গণহত্যার চিত্র দেখেছিলেন এবং পরবর্তী নয় মাস যদি সমগ্র বাংলাদেশে তা একইভাবে অব্যাহত থাকে, তাহলে নিহতের সংখ্যা সন্দেহাতীতভাবে ৩০ লাখেরও অধিক হবে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধটি হয়েছিল তিনটি মহাদেশে বিস্তৃত হয়ে। সময়কাল ছিল ছয় বছর। মৃতের সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয় কোটি। ত্রয়োদশ শতকে চেঙ্গিস খানের আগ্রাসী যুদ্ধের বিস্তৃতি ছিল মধ্য এশিয়া থেকে রাশিয়া, অপরদিকে ইরাক সহ পূর্বে চীন ও জাপান পর্যন্ত। সে যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ছিল প্রায় চার কোটি। গত শতাব্দির প্রথম মহাযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ২ কোটি এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধে প্রায় ৩৬ লাখ। অথচ একাত্তরে মাত্র নয় মাসের যুদ্ধে ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের এই ছোট একটি বাংলাদেশে নিহত হয়েছিল ৩০ লাখ মানুষ। সময়, সীমানা এবং নির্মমতার আনুপাতিক হার বিবেচনায় নিলে নিঃসন্দেহে একাত্তরের গণহত্যা ছিল ইতিহাসের যেকোন ঘৃন্যতম গণহত্যার মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তর এবং সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংসতম।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গণহত্যাকারীদের বিচার হয়েছিল, যা এখনও চলমান। এর আগের সব যুদ্ধের ইতিহাস অপরাধীর দায়মুক্তির ইতিহাস। আধুনিক বিশ্বেও জাতিসংঘের সনদ স্বাক্ষর করা অনেক দেশ আছে, যারা অপরাধ করেও দায়মুক্তি লাভ করেছে। যদিও জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সব গণহত্যাকারীদের বিচার ও শাস্তির বিধানকে অধিকতর কঠোর করার পরেও এই প্রবণতা খুব বেশি কমেনি। কোনও অপরাধী যদি হত্যা করেও শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে যায়, তাহলে সে আরও বেশি হত্যা করবে, এটাই স্বাভাবিক। আর যদি সেই অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যায়, তাহলে ভবিষ্যতে এই ধরণের অপরাধ করা থেকে অন্যদেরও নিরুৎসাহিত করা যাবে।

২০১০ সালের ২৫ মার্চ থেকে একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার, যা বর্তমানেও চলমান। এই বিচার বানচালের জন্য একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী চক্র দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন তৎপরতা চালাচ্ছে। ভবিষ্যৎ গণহত্যারোধে শুধু বর্তমানই নয়, অতীতের গণহত্যাগুলোরও বিচার করতে হবে এবং এ দায় বিশ্বের সকল জাতি ও রাষ্ট্রের কাঁধে সমানভাবেই বর্তায়। গণহত্যাকারীদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত সৃষ্টি করা বাংলাদেশ সরকারের জন্য খুবই জরুরি।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গভীর রাতে ঘুমন্ত, নিরস্ত্র বাঙালির উপর নির্মমভাবে ঝাপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। নির্বিচারে হত্যা করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারীদের। পুলিশ ও সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী ইপিআর-এর সদর দফতর ছিল ঢাকায়। ভারি অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি সেনারা সেখানে আক্রমণ করে নির্বিচারে হত্যা করে শত-শত বাঙালি পুলিশ সদস্য। বিভিন্ন হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা সেদিন মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল গোলার আঘাতে। বাদ যায়নি ঢাকার বস্তি আর বাজারগুলোও। সব আগুনের পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। পালানোর সময় হাজার হাজার মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছিল। কত ঘুমন্ত মানুষ সে রাতে মেশিনগানের ব্রাশ ফায়ারে নিহত হয়েছিল, তার সঠিক সমীক্ষণ করা মানবিক বোধেরও বাইরে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে ২৫ মার্চ এই হত্যাযজ্ঞের অভিযান চালিয়ে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ হাজার নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করেছিল।

বাংলাদেশের গণহত্যার ৪৪তম বার্ষিকীতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অাহ্বান জানাতে চায়, ২৫ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হোক। এই দিন সারা বাংলাদেশের মানুষ স্মরণ করতে চায় বিশ্বের সেই সব মানুষদের যারা ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে গণহত্যার শিকার হয়েছেন। এলক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এই বছরও নির্মূল কমিটি আয়োজন করছে ‘আলোর মিছিল’। ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২৫ মার্চ রাত ৮টায় নিহতদের স্মরণে সবাই অন্তত একটি মোমবাতি জ্বালাবে, যে আলো ঘাতকের চেতনা থেকে হিংসা, বিদ্বেষ ও হানাহানির কালিমা দূর করবে। এই আলোর মিছিল শুধু ঢাকাতেই নয়, সারাদেশের প্রতিটি জেলায় –উপজেলায় এবং বিদেশের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাঙালিরা আয়োজন করবে। এ উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বানে অনলাইনের বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও ফেসবুকে ‘আলোর মিছিল’ নামে খোলা হয়েছে বিশাল ইভেন্ট, যা এরই মধ্যে সারা বাংলাদেশে সাড়া ফেলে দিয়েছে। কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। আমরা জানিয়ে দিতে চাই একাত্তরে গণহত্যার কথা যা বিশ্বের খুব কম মানুষই জানে।

গণহত্যার বিরুদ্ধে গণসচেতনতা ও গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হলে বছরে অন্তত একটি দিন নির্বাচন করতে হবে, যেদিন সমস্ত পৃথিবীর মানুষ স্মরণ করবে নিহতদের, দাবি জানাবে গণহত্যাকারীদের বিচারের এবং উদ্যোগ নেবে গণহত্যা অবসানের। বাংলাদেশে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ গত ২২ বছর ধরে ২৫ মার্চ গণহত্যার কালরাত্রি পালনের কর্মসূচি হিসেবে শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে আলোর মিছিল নিয়ে নিকটস্থ বধ্যভূমিতে গিয়ে মোমবাতি জ্বালায়। গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্মূল কমিটির শাখাগুলোও এই কর্মসূচি পালন করছে।

এই প্রথমবারের মতো অনলাইন অ্যাকটিভিজম এবং প্রচারণার কারণে সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ, বিশেষ করে এই প্রজন্মের সন্তানরা জানতে পারছে একাত্তরের গণহত্যার বিভীষিকার কথা। সেই সাথে ২৫ মার্চ হোক “আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস” দাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করছে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণ। প্রতি বছরের মতো এ বছরও স্বাধীনতা ও গণহত্যার ৪৪তম বার্ষিকীতে দেশে-দেশে নির্মূল কমিটির আলোর মিছিলে শামিল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছে সেই সব দেশ ও জাতিসত্তার মানুষদের, যেসব দেশ ও জাতি সভ্যতার নৃশংসতম অভিশাপ গণহত্যার শিকার হয়েছে। যেভাবে আমরা গণহত্যাকারী, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণআন্দোলন গড়ে তুলেছি, সেভাবে ২৫ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ পালনের পক্ষে বিশ্বজনমত সংগঠিত করাই নির্মূল কমিটির লক্ষ্য। এই জনমত সংগঠনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তরুণ-প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ‘আলোর মিছিল’ নামে ফেসবুকে যে ইভেন্ট খুলেছে, তা এরই মধ্যে সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে এবং অভূতপূর্ব প্রচারণার মাধ্যমে এই বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে পৃথিবীর সকল জায়গায়।

শেখ হাসিনা সরকার প্রথম মেয়াদকালে জাতিসংঘের মাধ্যমে যেভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ২১ ফেব্রুয়ারির স্বীকৃতি আদায় করেছিল, ঠিক একইভাবে ২৫ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য জাতিসংঘে এবং বিভিন্ন দেশে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাবে বলেই একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি দাবি করে। নির্মূল কমিটি বিশ্বাস করে, সরকার উদ্যোগ নিয়ে বিশ্বের যত দেশে আমাদের মতো ভুক্তভোগীরা আছেন, তারা সবাই এই দাবির সাথে সহমত পোষণ করবে। যতদিন ২৫ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা’ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ না করবে, ততদিন দেশের জনগণসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাধারণ জনগণকে দাবির যৌক্তিকতা প্রশ্নে সচেতন করার কাজ নির্মূল কমিটি অব্যাহত রাখবে। আমাদের প্রচারাভিযানের মাধ্যমে এই বার্তাটি আমরা পৌঁছে দিতে চাই পৃথিবীর প্রতিটি জায়গায়- এ পৃথিবী মুক্ত হোক হত্যা, নির্যাতন, সন্ত্রাস ও সভ্যতাবিনাশী তাবৎ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে। এ প্রত্যায় শুধু আমাদেরই না; এ প্রত্যয় নতুন প্রজন্মেরও। এ প্রত্যয়েই আমরা শামিল হবো আলোর মিছিলে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত