সদেরা সুজন

১৫ আগস্ট, ২০১৬ ০০:৩৭

শৈশবের স্মৃতিতে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫

১৯৭৫। সবেমাত্র প্রাইমারী স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে হাইস্কুলে পদার্পণ করেছি। বেশ ভালোই লাগছিলো হাই স্কুলের ছাত্র হিসেবে, শৈশব থেকে কৈশোরে পা দিলে যা হয়। বাবা, বড়ভাই-বড়বোন সবাই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তখন আমাদের এলাকায় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় না থাকায় বড় দু’বোন একই স্কুলের নবম কিংবা দশম শ্রেণীর ছাত্রী এবং ছাত্রলীগের স্কুল শাখার নেত্রী।

বড়বোনদের সঙ্গে স্কুলে যেতাম। দিনটি ছিলো শুক্রবার। ১৫ আগস্ট। খুব ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে স্কুলের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তখন শুক্রবার মানে হাফ স্কুল। জুম্মার নামাজের জন্য সকাল আটটায় স্কুল শুরু হতো আর সাড়ে এগারটায় শেষ হয়ে যেতো। স্কুলে যাবার পূর্বমুহূর্তে বাবা বললেন স্কুলে না যাবার জন্য। কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখলাম বাবার বিষণ্ণ মুখে প্রিয়জন হারানোর বেদনায় বিমর্ষ, তিনি কাঁদছেন আর রেডিওর সংবাদ শুনছেন। আমাদের বাড়িতে তখন ব্রাউন চামড়াবৃত একটি ফিলিপস কোম্পানির থ্রি-ব্যান্ডের রেডিও ছিলো, রেডিওটা মাঝেমধ্যে যান্ত্রিক বিভ্রাট করতো। সেদিনও সমস্যা দেখা দেওয়াতে বাবা রাগে রেডিওটা ভেঙ্গে ফেলার মতো অবস্থা করছেন।

যদিও প্রথমে স্কুলে না যাবার নির্দেশ শুনে আনন্দে মেতে উঠেছিলাম। কি মজা, স্কুলে গিয়ে স্যারের ধমক খেতে হবে না। সারা দিন বাঁধনহীন মুক্ত বিহঙ্গের মতো ঘুরবো সারা গ্রাম, সহপাঠী আর বন্ধুদের নিয়ে থাকবো খেলায় মত্ত। কিন্তু একটু পরেই যখন দেখলাম সারা গ্রামের পুরুষ মানুষ আমাদের বাড়িতে সমবেত হচ্ছেন, এবং খুবই নিচু কাঁপা কাঁপা স্বরে সেই ভয়াবহ ঘটনা সম্পর্কে বিশ্লেষণ আর আলাপ আলোচনা করতে লাগলেন। মা আমাকে বললেন বাড়ি থেকে না বের হবার জন্য। দেশে হয়তো আবার গণ্ডগোল (সংগ্রাম) লেগে যেতে পারে। বাবাসহ গ্রামের অনেক মানুষের বেদনাবিধুঁর আর বিমর্ষতায় কৈশোরের চোখেও বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে দেশে একটি বড়রকমের অঘটন ঘটে গেছে। পরে অবশ্য বুঝতে অসুবিধা হয়নি বাংলাদেশে কত বড় সর্বনাশ ঘটে গেছে। বাংলাদেশের প্রধান প্রাণপুরুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে।
 
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়  আমার সেই শৈশবের চোখে দেখেছি ১৯৭১ সালের সংগ্রাম, দেখেছি হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ, মনে আছে শরণার্থী ক্যাম্পের দিনগুলোর কথা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কতো মিছিল কতো মিটিং। ১৯৭১ সালে ছোট-বড় সবাই দেখেছে শেখ মুজিব আর নৌকার জয়জয়কার। এছাড়াও শুনেছিলাম বড়ভাই আর বাবার মুখে বঙ্গবন্ধুর কতো কথা।

বঙ্গবন্ধু যখন সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় মিটিং করতেন তখন বড়ভাই শ্রীমঙ্গল কলেজের ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর কর্মী হয়ে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সভায় যাবার সুযোগ হতো আর সেখানে যেতেন এবং বাড়িতে এসে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কতো গল্প করতেন আর আমরা অন্যান্য ভাইবোনরা অপলকদৃষ্টে বড়ভাই’র কথা শুনতাম।

১৯৭৫ সালে ভালো করে রাজনীতি বুঝতাম না। শুধু মাঝেমধ্যে স্কুলের উপরের ক্লাসের বড় ভাইবোনদের জাতীয় দিবসে সঙ্গে শহীদ মিনারে প্রভাত ফেরীতে কিংবা  বিভিন্ন অনুষ্ঠানের র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করে  ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে শ্লোগান দিয়ে বড়দের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলাতাম, মিছিল করতাম। আগস্ট ট্রাজেডির সকাল বেলা বাড়িভরা মানুষ আর ভয় ভয় চোখে বাবার পার্শ্বে বসে বড়দের চোখে জল দেখে নিজেও আতঙ্কিত হয়ে  পড়েছিলাম।
 
আমার কৈশোরের চোখে দেখা সেই ৭৫-এর অভিশপ্ত সকালবেলার কথা তখন এতো বেশী করে উপলব্ধি করতে পারিনি। আমি সেদিন ভয় ভয় চোখে কাঁপা কাঁপা অস্পষ্ট কণ্ঠে মাকে জিজ্ঞাস করেছিলাম বাবা কেন এমন করছেন কি হয়েছে! শেখ মুজিবতো আমাদের কোনো আত্মীয় নন, কিংবা গ্রামেরও কোন লোক নন তা হলে বাবা গ্রামবাসী আর বড় বোনরা কাঁদছে কেন, আমাদের বাড়িতে এত মানুষ সমাগম হচ্ছে কেন? মা বলেছিলেন ‘ও তুমি বুঝবে না-বড় হলে বুঝবে, শেখ মুজিবের জন্য সারা দেশের মানুষ কাঁদছে নীরবে নিভৃতে, শেখ মুজিব সবার আত্মার আত্মীয়, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং একজন বড়নেতা।’
 
না, সেদিন জাতির জনক হত্যার বিষয়টি ভালো করে না বুঝলে কয়েক বছর পরই বুঝতে অসুবিধা হয়নি ১৯৭৫-এর সেই কালরাতে কি ঘটেছিলো বাংলাদেশের মাটিতে। কী ভয়াবহ কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটেছিলো বাংলাদেশে, কী ভয়ানক ধ্বংসের মাতমে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো মানুষের ভাষা, স্তম্ভিত বাকরুদ্ধ হয়েছিলো গোটা দেশবাসী সেই অবিশ্বাস্য-অভাবনীয়-অকল্পনীয়-অচিন্তনীয় এই নিষ্ঠুরতম, নৃশংসতম, বিভীষিকাময় বর্বরোচিত ও মর্মন্তুদ নারকীয় হত্যাযজ্ঞে।

কীংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে মানুষ ছিলো বিপন্ন ভারাক্রান্ত জনক হারানোর শোকের মাতমে স্তম্ভিত। মনে আছে  ১৫ আগস্টের ২/৩ দিন পর স্কুলে গিয়ে দেখি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অফিসে টাঙ্গানো বঙ্গবন্ধুর ছবি নেই। অনেকদিন পর জানতে পেরেছিলাম ১৫ আগস্ট সকালেই শিক্ষকরা  বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়ে অফিসের ভিতর কাঠের আলমারির পিছনে লুকিয়ে রেখেছেন। ৭৫-এর ১৫ আগস্টের পরপরই লুকায়িত উইপোকার মতো ঝাঁক ঝাঁক স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক হায়েনা রাজাকার আলবদররা ইঁদুরের গর্ত থেকে বের হয়ে অকস্মাৎ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির উপর বিশেষ করে আওয়ামী লীগ আর সংখ্যালঘুদের ওপর। নির্বিচারে হত্যা-ধর্ষণ-সংখ্যালঘু নির্যাতন শুরু হয় চোখের পলকে। বুঝে উঠার আগেই প্রশাসনের সকল ক্ষেত্র বদলে যায়, প্রশাসনে পাকিস্তানপন্থীরা শুরু করে দেয় স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের ওপর নির্মম অত্যাচার।

মনে আছে এখনো, কমলগঞ্জ হাই স্কুলের পাশেই ছিলো থানা। থানার ভিতরে ছিলো বিশাল একটি তমাল গাছ। সেই তমাল গাছে হাত-পা-চোখ বেঁধে কী মধ্যযুগীয় বর্বর নির্যাতন করতে দেখেছি কমলগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ক্যাপ্টেন পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর চাচাকে  (বর্তমানে প্রয়াত), বীর মুক্তিযোদ্ধা বিধান দাসসহ অনেককেই। আমার বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবুল এবং পার্শ্ববর্তী বাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা মিহির কাকুকে পুলিশ খুঁজছিলও। বাবা দেশের অবস্থা ভয়ানক হবে ভেবেই বড় ভাই আর মিহির কাকুকে এলাকার বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।

আমার বড়ভাই’র মুখ থেকে পরে শুনেছিলাম শ্রীমঙ্গলের খ্যাতনামা জননেতা পরবর্তীতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল হোসেন (বর্তমানে প্রয়াত) ও শ্রীমঙ্গলের সাবেক পৌরসভা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিমকে পুলিশ অমানুষিক নির্যাতন করে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছিলো।

এটা শুধু একটি এলাকার কথা তুলে ধরলাম এভাবে সারা দেশে আতংক সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করার জন্য খুনিরা মেতে উঠেছিলো যা বছরের পর বছর যুগের পর যুগ ধরে চলছিলো। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মাত্র ৩/৪ দিনের পর দেখেছি আমাদের এলাকার নামকরা রাজাকার স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অসংখ্য সংখ্যালঘু মানুষের হন্তারক অসংখ্য নারীর  ধর্ষণকারী কুখ্যাত ত্রাস মুজিবুর রহমান কমরু মিয়া (পরবর্তীতে ইউপি মেম্বার)সহ আনোয়ার খান (পরবর্তীতে উপজেলা চেয়ারম্যান)-দের উত্থান, দেখেছি তাদের আক্রমণে কী করে নির্যাতিত হয়েছিলো স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের।

থানার পুলিশ অফিসার আর পুলিশের নির্যাতনের ভয়ে এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছিলো, তাদের অপরাধ ছিলো তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা। আমার বড় ভাইও ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা তিনিও বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলেন। দেখেছিলাম কী করে রাতারাতি ভারতবিদ্বেষী উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড, ভারতীয় কোনো পণ্যের জন্য স্থানীয় হিন্দুদের বাসা-বাড়িতে তল্লাশির নামে নির্যাতন। আমাদের বাড়িতে ভারতের পন্স পাউডার ও ব্রোনলিনের টিউবসহ ভারতীয় কিছু পণ্য ছিলো যা ভারতে শরণার্থী ক্যাম্পে থাকাবস্থায় আনা হয়েছিলো, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর তা গোবরের গর্তে লুকিয়ে রাখতে হয়েছিলো দানবদের ভয়ে।
 
নিজের অজান্তেই সেই ১৫ আগস্টের ইতিহাসের ভয়াবহ কলঙ্কিত সেই ভোর আমার বিবেককে দংশিত করেছিলো, আমার কৈশোর জীবনের দুঃসহ স্মৃতি আমাকে পীড়িত করে আমার মনে যে ক্ষত হয়েছিলো তা থেকেই আমাকে ধাবিত করেছিলো সেদিনের সেই শোককে শক্তি হিসেবে এগিয়ে যাবার ফলে ক্রমান্বয়ে বঙ্গবন্ধু ভক্ত হয়ে সত্যিকারের বঙ্গবন্ধু প্রেমিক হয়ে ছাত্র রাজনীতিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ি। এই রাজনীতি করতে গিয়ে জীবনের কতো সহস্র চড়াই-উৎরাই পেরুতে হয়েছে, স্বৈরাচার খুনি জিয়া-এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে জেল-জুলুম-অত্যাচার সইতে হয়েছে। মৃত্যুর মুখোমুখি থেকে কতবার বেঁচে গিয়েছি যা শরীরের অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন এখনো আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় সেই দুঃসহ দিনগুলোর অতীত বিন্যাসে প্রবাসের এই কষ্ট কঠিন সময়ের মাঝেও।

প্রায় ৪১ বছর হলো স্বাধীনতা বিরোধী বাংলাদেশের কতিপয় অসভ্য সামরিক কর্মকর্তা তাদের অসৎ চরিত্র বাস্তবায়ন করার লক্ষে হাজার বছরের এই শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করলো, কিন্তু এই ৪১ বছরে আমরা কি পেলাম আর কি হারালাম তা এখন ভেবে দেখার সময়। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ চিরসত্য অবিচ্ছেদ্য, যা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তিনি ছিলেন বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নদ্রষ্টা।

প্রবাসের কষ্টকঠিন সময়ে ৭৫-এর ১৫ আগস্টের সেই চিরন্তন অমলিন স্মৃতি আমাকে কাঁদায়। ২৪/২৫ বছর ধরে প্রবাস জীবনে  জাতীয় শোক দিবসে একান্ত নীরবে জাতির জনক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর প্রতি পারিবারিকভাবে শ্রদ্ধা জানাই, কম্পিউটারে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ বাজিয়ে শতাব্দীর অমর কাব্যখানি পরিবারের সবাইকে নিয়ে কয়েকবার শুনি।

এদেশে জন্ম নেওয়া আমার সন্তানদেরে বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ সম্পর্কে বলি। আমার ঘরের শোকেসসহ দেয়ালে লাগানো বঙ্গবন্ধুর ছবিগুলো দেখিয়ে বঙ্গবন্ধুর মতো মহামানবের গল্প বলি। যে নেতার জন্ম না হলে হয়তো পৃথিবীর মানচিত্রে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ পেতাম না, আজ আমরা প্রবাসের মাটিতে গর্ব করে বলতে পারতাম না, আমরা বাঙালি, বাংলা আমাদের দেশ, বাংলা আমাদের (আন্তর্জাতিক) মাতৃভাষা।

বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের কণ্ঠে বাঁচার আকুতি পত্রিকায় পড়ে আমি কতবার যে কেঁদেছি। ’৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই বেদনাবিধুঁর কথাগুলো মনে পড়লেই আপ্লুত হয়ে যাই। শেখ রাসেল আর আমি একই সালে জন্ম গ্রহণ করি, বেঁচে থাকলে আমার মতো মধ্যবয়সি হয়ে যেতো।

৪১ বছর ধরে বাংলার অবিসংবাদিত নেতা, শতাব্দীর মহামানব, টুঙ্গিপাড়ার ঘন বনবিথীর ছায়াতলে, মধুমতি নদীর কলতানে ঘুমিয়ে আছেন বাংলার প্রিয় জনক শেখ মুজিব। তাঁর তিরোধানে সেই মাটি এখন বাঙালির তীর্থভূমি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাংলা ভাষা থাকবে, যতদিন পৃথিবীর চন্দ্র-সূর্য থাকবে ততদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন শতাব্দী থেকে হাজার লক্ষ বছর অনন্তকাল মানুষের হৃদয়ে হৃদয়ে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায়। বাঙালির হৃদয়ে তিনি আকাশের মতো ভালোবাসা আর মহা সাগরের মতো শ্রদ্ধা নিয়ে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল, শতাব্দী থেকে শতাব্দী, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।

কিছু খুনিদের বিচার কার্যকর হওয়াতে সারা বিশ্বে বসবাসরত প্রবাসীরাও খুশি বাংলাদেশের মানুষের মতো একমাত্র বিএনপি-জামাত বাদে। বাকি খুনিদেরকে বিদেশ থেকে নিয়ে ফাঁসি কার্যকর করলেই দেশ জাতি কলঙ্ক আর গ্লানি থেকে মুক্তি পাবে পাশাপাশি খুনিদেরকে যারা যুগের পর যুগ বাঁচিয়েছে আশ্রয়-প্রশ্রয় অর্থবিত্ত সুযোগসুবিধা কিংবা বিদেশে পাঠানো চাকুরি দিয়েছে কিংবা ইনডেমনিটির মতো কালো আইন করেছিলো তাদের বিচার হওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি প্রয়োজনে মরণোত্তর বিচার হলেই জাতি কলংমুক্ত হবে।

জাতির জনকের তিরোধান দিবস শোকাবহ আগস্টে তাঁর প্রতি রইলো আমার বিনম্র শ্রদ্ধা
 
সদেরা সুজন: প্রধান নির্বাহী, কানাডা বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি (সিবিএনএ)।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত