প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় সারাবিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে জ্ঞান-বিজ্ঞানের হাত ধরে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের কাছাকাছি যাওয়ার

০৬ মে, ২০১৫ ২২:৫৫

সাম্প্রতিক অনলাইন: আদর্শের সংঘাত, নাকি নোংরামি?

মিহির দাস

তৎকালীন বিএনপি সরকার সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করেনি বলে দেশ পিছিয়ে গিয়েছিল অনেক কিন্তু বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের হাত ধরে এদেশের মানুষ তথ্য-প্রযুক্তিকে যেভাবে ব্যবহার করছে সেটা আশাতীত। অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

আমাদের দেশে অনলাইন বলতে অনেকেই এখনও ফেসবুক বুঝে থাকে। খুব কম মানুষ আছে যারা ফেসবুকের বাইরেও অনলাইন বুঝে থাকে। ব্লগ এবং ব্লগার শব্দগুলো এখনও অনেকের কাছে নেতিবাচক হিসেবে দৃশ্যমান। এ পরিস্থিতিতে ফেসবুককে অনেকেই তাদের যোগাযোগের এক বিশাল মাধ্যম হিসেবে মনে করে থাকে।

গত কয়েক বছরে ফেসবুক সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই এ ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশ করে থাকে। এই মতামত প্রকাশকারীদের মধ্যে এক ধরণের শ্রেণিবিন্যাসও লক্ষ্য করা যায়। ফেসবুকের বিভিন্ন অপশন যেমন লাইক-কমেন্টের নিক্তিতে অনেক লোককে আবার ‘সেলিব্রেটি’ আখ্যা দেন অনেকেই।

ফেসবুক যখন সামাজিক আন্দোলন কিংবা যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত হয়ে উঠেছে তখন এই ফেসবুকের মাধ্যমে আবার অনেক দল-শ্রেণি গড়ে উঠেছে যারা প্রথম দিকে একত্র হয়ে থাকলেও কালক্রমে নিজেদের আসল চেহারা প্রকাশ করছে। ফলে দলবাজি, গ্রুপিং, নিজেদের মতামত অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া, মতবিরোধ হলে শত্রু ঘোষণা করে তার বিরুদ্ধে সত্য-মিথ্যা মিশিয়ে অপপ্রচার চালানো।

দুঃখের বিষয় এসব মিথ্যাচারের সময় তারা অনেক সময় ফটোশপের আশ্রয় নিয়ে স্ক্রিনশটের ব্যবহার করে সামাজিকভাবে হেয় করার অপকৌশল প্রয়োগ করে।

বাংলাদেশের অনলাইনে জামায়াত-শিবিরের দৌরাত্ম্য কমেনি। জামায়াত-শিবির তাদের নিজস্ব আদর্শ প্রচারের জন্য ফেসবুকের আশ্রয় নিয়েছে। প্রথম দিকে তারা বেশ সফল হয়েছিল কিন্তু এক সময় তাদের মিথ্যাচার সবার সামনে পরিষ্কার হয়ে যায়। এই ফেসবুক ব্যবহার করে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলাকালীন সময়ে সারাদেশে নাশকতার দিকনির্দেশনা দিয়েছিল। এখন এই অবস্থা কমে এলেও তাদের তৎপরতা মোটেও কমেনি।

অনলাইনে বিশেষ করে ফেসবুকে জামায়াত-শিবির এবং বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী পেইজগুলো হলো বাঁশেরকেল্লা, যেড-ফোর্স আন্দোলন, দ্বিতীয় আলো, রেডিও মুন্না, মজালস, Vision2021 - ভিশন২০২১, BANGLADESH ISLAMI CHHATRASHIBIR, ব্রেকিং, MEDIA WATCH BANGLADESH, প্যান্টের উপর আন্ডারওয়্যার পরলেই সুপারম্যান হওয়া যায় না, তরুণ প্রজন্ম Young generation, ব্রেকিং-আঠারো দলীয় জোট, বখতিয়ারের ঘোড়া, সম্মিলিত ইসলামী মঞ্চ Sommilito Islami Manch, ইসলামের পক্ষে বজ্রকন্ঠ , বিদ্রোহী – Bidrohi, Faraeji Andolon - ফারায়েজী আন্দোলন, Abdul Zabbar, সিপি গ্যাং, ইসলামের কেল্লা - Islamer Kella, তিতুমিরের বাঁশেরকেল্লা, ব্রেকিং ব্রেকিং ব্রেকিং, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা, সংবাদ ও বিনোদন, নাস্তিকরা হুশিয়ার, পড়লে পড় জামায়াত-শিবিরের নেতাদের নাম নিয়ে করা পেইজ,সহ আরও অনেক। সবগুলো পেইজ জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত হলেও এর মধ্যে সিপি গ্যাং গ্রুপ কিংবা গোষ্ঠী আওয়ামিলীগের নামে পরিচালিত।

জামায়াত-শিবিরের আদর্শ পরিচালনা করে যে সব গ্রুপ আছে সেগুলো প্রগতিশীল মানুষদের আস্থা অর্জন করতে না পারলেও সিপি গ্যাং নামক একটি গোষ্ঠী আওয়ামীলীগের আদর্শ প্রচারের দাবি করে থাকে। তারা বঙ্গবন্ধুর নাম মুখে নিয়ে আওয়ামীলীগ ধারার মানুষদের বিরুদ্ধে দলবদ্ধভাবে ঝাপিয়ে পড়ে এবং সামাজিকভাবে হেনস্থাও করে থাকে। এজন্যে তাদের গোপন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় ফটোশপ এবং ফটোশপ ও সফটওয়ারের মাধ্যমে বানানো স্ক্রিনশট।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক আদর্শের সংঘাত মাঠ ছেড়ে অনলাইনে ঠাই নিয়েছে বহুদিন ধরেই। আর এই আধুনিক ও প্রগতিশীলধারার দখলদারি নিয়ে সবচেয়ে নোংরামি করে যাচ্ছে যে সংগঠনটি তার নাম সিপি গ্যাং। হিটলারের নাজি কায়দায় তারা অল হেইল সিপি গ্যাং শ্লোগান দিয়ে হেন নোংরামি নেই যা করছে না। সিপি গ্যাংয়ের প্রাথমিক নাম ছিল ‘ছাগু পুন্দানি গ্যাং’ কিন্তু এক সময় ছাগু মানে জামায়াত-শিবিরের মতো তাদেরও একমাত্র লক্ষ্য হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের অনলাইন থেকে বিতাড়ন। এখন তারা দাবি করে তাদের নাম ‘ক্র্যাক প্লাটুন গ্যাং’।

তাদের লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং জামায়াত বিরোধী একটিভিস্টদের অনলাইন ছাড়া করা। ভয় দেখিয়ে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে চরিত্রহানি করে এবং ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে তারা এই অন্যায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এই দলটির নেতা হিসেবে আছে একসময় বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার আস্থাভাজন এবং তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের প্রতিষ্ঠান ওয়ান এন্টারটেইমেন্ট লিমিটেডের কর্মচারি আবদুল হান্নান।

অনলাইনের সবাই জানে সৌদি আরব এবং ইতালিতে তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত করার দুটো মামলা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একজন ক্ষমতাশালী ব্যক্তির সঙ্গে আত্মীয়তার সুবাদে সে অনলাইনে বিএনপি ছেড়ে আচমকা রাসেল রহমান নামে আত্মপ্রকাশ করে এবং অনলাইন আওয়ামী লীগের হর্তাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়।

ব্যক্তিজীবনে দুশ্চরিত্র এই রাসেল রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সীমা নেই। সবচেয়ে বড় অভিযোগ সে বাছাই করা পতিতাদের পাঠিয়ে প্রভাবশালী ক্ষমতাসীনদের অনেকের গোপন ভিডিও ধারণ করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে। এই তালিকায় অনেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য রয়েছেন বলে অনলাইনের মুখরোচক খবর।

রাসেল রহমানের মূল অভিভাবক আরিফ আর হোসেইন নামের ফেসবুকে জনপ্রিয় একজন সেলিব্রিটি। বিএনপির সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর ভাগ্নে আরিফ রাসেলসহ অনেক বিএনপি একটিভিস্টকে সরকারী দলের সদস্য বানিয়ে বাজারে ছেড়েছে ফেসবুকে নিজের একাধিপত্য বজায় রাখতে। প্রচুর টাকা খরচ করে কিছু বেকার তরুণ দিয়ে এই অন্যায় রাজত্ব কায়েম করেছে আরিফ আর হোসেইন। এ ছাড়া রাসেল রহমানের গ্যাংয়ের তত্বগুরু হিসেবে জার্মান প্রবাসী মোহাম্মদ খান টিটু নামে একজন প্রকৌশলীর কথা শোনা যায়। চাঁদপুরের এক জামায়াত নেতার মেয়ের জামাই মোহাম্মদ খান টিটু চোরমিয়া, চন্দ্রবিন্দু এবং অচ্ছুত বলাই নামে ব্লগিং করেন। রাসেল রহমানের ডান হাত হিসেবে রয়েছে শ্রাবণ মোহসিন নামে এক তরুণ। এখন শোনা যাচ্ছে রাসেল রহমান একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালও চালাচ্ছেন তার অনুসারিদের মাধ্যমে। ফলে মিডিয়ার দিকে ঝুকে পড়ছে তারা বুঝাই যাচ্ছে।

এছাড়া প্রবাসী কিছু তরুণ বিএনপি একটিভিস্ট তার পাশে রয়েছে। এদের একজন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের একটি অনুষ্ঠানে হাজির হলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কারণ সেই তরুণ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কালো পতাকা দেখিয়ে প্রতিবাদ করা এবং তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ সহচর এক যুবদল নেতার ভাই। হিজবুত তাহরিরের সদস্য হাসিব নামে একজন আর্কিটেক্টও ইদানিং সিপি গ্যাংয়ের পক্ষে ব্যাপক সক্রিয়। আচমকা গাড়ি বাড়ি করে কোটিপতি বনে যাওয়া রাসেল রহমানের অবৈধ অর্থের উৎস অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা।

যশোরে কয়েকটি অবৈধ লাইনের মাধ্যমে সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে সে ও তার সঙ্গীরা। এক্ষেত্রে তার মূল সহযোগী শোয়েব নামে এক ব্যাক্তি যে যশোর কৃষি ইনস্টিউটে কর্মরত। দীর্ঘ ৭ বছর প্রেম করে বিয়ে করা শোয়েবের স্ত্রীও একজন কৃষিবীদ, যিনি তাকে বছর খানেক আগে তার অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে ডিভোর্স দিয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এক ভদ্রলোকের সাথে নতুন সংসার শুরু করেছেন।

অনলাইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে সক্রিয় একটিভিস্টদের একেরপর এক আক্রমণ করে যাচ্ছে সিপিগ্যাং। দল বেধে গালিগালাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা স্ক্রিনশট বানিয়ে এবং ফটোশপে বিকৃত ছবি তৈরি করে চরিত্রহরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এছাড়া সরলমনা মেয়েদের ব্ল্যাকমেইল করা তাদের কাজ। কিছুদিন পূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আসিফ নজরুলের নামে একটি পর্ণ ভিডিও তারা অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে উল্টা পুলিশ হয়রানি করে।

শুধু তাই নয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রিসার্চ সেলের কাজ করার নামে তন্ময় আহমেদ ও আসিফ খান অভি অনবরত অনলাইনে যার তার নামে বাজে কথা বলে বেড়াচ্ছে। তন্ময়ের মামাও বিএনপি করতেন এবং খুনের মামলার আসামী। হলে এসে লুকিয়ে থাকতেন তিনি। বুয়েটের ছাত্রলীগের ছেলেরাই এই কথা বলেছে। তার ছোট বেলার বন্ধুরা সব শিবির করতো । পারিবারিক ঝামেলা আর ঐসব শিবিরের বন্ধুরাই তাকে ঈদের সময় সে এলাকায় কুপিয়েছিল, এর সাথে ছাত্রলীগের রাজনীতি বা বুয়েটের রাজনীতির কোন সম্পর্ক নাই।

বুয়েটের জাহাঙ্গির ইস্যুতেও তন্ময় ছাত্রলীগের ঐ দুই ছেলের বহিস্কারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং আদেশ যেন বহাল থাকে সেই চেষ্টা করছে তারা। ছাত্রলীগের গ্রুপিংয়ের কারণেই বুয়েটের ঐ কেস ঝুলে গেছে এবং ছাত্রলীগের বিপক্ষে যাচ্ছে। অথচ বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কার হয়েছিলেন যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের পক্ষ নেওয়া জামায়াতপন্থি শিক্ষকের রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার কারণে। এই ইস্যুতে বর্তমানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তৎপর হয়েছে। ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যেখানে প্রতিবাদ করছেন সেখানে সিপি গ্যাং কিভাবে জামায়াতপন্থি শিক্ষকের পক্ষে অবস্থান নেয়? ফলে পরিষ্কার হয়ে যায় সিপি গ্যাংয়ের আসল উদ্দেশ্য কী?

অনলাইনে জামায়াত-শিবিরের দৌরাত্ম্য, সিপি গ্যাংয়ের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এক্টিভিস্টদের অনলাইন ছাড়া করার নীলনকশা বাস্তবায়নে তারা ফটোশপের আশ্রয় নিয়ে মিথ্যা স্ক্রিনশট ছড়িয়ে বেড়ায়। তাদের এই নীতিহীন কর্মকান্ডে অনেকেই ভীত, উদ্বিগ্ন।

দেশে আইসিটি আইন নামের একটা আইন আছে। যে আইনে অনলাইনে মিথ্যাচার ও আক্রমণের জন্য নাগরিকদের সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে কিন্তু সিপি গ্যাংসহ জামায়াত-শিবির পরিচালিত কোন পেইজ ও গ্রুপের মানুষদের বিরুদ্ধে সরকারী কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি।

বর্তমানে অনলাইনে আদর্শের প্রচার নামে যা হচ্ছে সেটা এক প্রকার নোংরামি। এই নোংরামির বিরুদ্ধে সরকারের কোন উদ্যোগ না থাকলে অনলাইন মানুষের কাছে বিভীষিকার প্রতিশব্দ হয়ে উঠবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইসিটি মন্ত্রী, দয়া করে এই নোংরামির রাশ টেনে ধরুন। সাধারণ মানুষদের রেহাই দিন।

মিহির দাস: ডাক্তার এবং ফেসবুক ব্যবহারকারী।

[email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

*আমরা অনলাইন/ফেসবুক চরিত্র ইস্যুতে আরও অনেক লেখা ছাপতে আগ্রহী।  এজন্যে আপনাদের লেখা এবং লেখার সঙ্গে ছবি ও যোগাযোগ নাম্বার সিলেটটুডের অফিসিয়াল ইমেইলে আহ্বান করছি।  বি.স।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত