গান গেয়ে এক সময় শিরোনামে থাকতেন তিনি। আর এখন বিতর্কিত মন্তব্যই তাঁকে শিরোনামে জায়গা করে দেয়। তিনি ভারতীয় গায়ক অভিজিত ভট্টাচার্য।

সম্প্রতি শিবসেনার হুমকিতে মুম্বই এবং পুণেয় পাকিস্তানের জনপ্রিয় গজল গায়ক গোলাম আলির দু’টি অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হয়েছে। সেই গোলাম আলিকেই টুইটে ‘ডেঙ্গু আর্টিস্ট’ বলে কটাক্ষ করলেন অভিজিত্। একই সঙ্গে গোলাম আলির অনুষ্ঠানকে বন্ধ করার পক্ষেই মত দিয়েছেন তিনি।

অভিজিতের টুইট, ‘‘এই ধরনের মানুষের কোনও আত্মমর্যাদা নেই। শুধু সন্ত্রাসবাদী কাজই এঁরা করেন। সন্ত্রাসবাদী দেশের এই সব ডেঙ্গু আর্টিস্টদের বিরুদ্ধে এখনও তো কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। এঁরা নিজেদের প্রতিভার জোরে গাইতে আসেন না। বরং পাক দালালদের হাত ধরেই এ দেশে আসে।’’ বিতর্কিত মন্তব্য এবশ্য এই প্রথম নয়।

এর আগেও সালমন খানের গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা মামলায় সলমনের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে অভিজিত বলেছিলেন, ‘‘রাস্তায় শুলে কুকুরের মতোই মরতে হবে।’’ সলমনের দোষ ঢাকতে গিয়েও সে বারও চমন সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অভিজিত।

বলিউডের একটা বিরাট অংশ গোলামের অনুষ্ঠানকে সমর্থন জানিয়েছেন। অভিনেত্রী শাবানা আজমি, পরিচালক মহেশ ভট্ট, ডিজাইনার ওয়েনডেল রডরিক্স শিবসেনার এই হুমকির প্রকাশ্য সমালোচনা করেছেন।

শিবসেনার এই রাজনীতিতে অসন্তুষ্ট প্রধানমন্ত্রীও। তাঁর সরকারের মন্ত্রী তথা মহারাষ্ট্রের শীর্ষ বিজেপি নেতা নিতিন গডকড়ী শিবসেনার আচরণের নিন্দা করে বলেন, ‘‘পাকিস্তান সরকারের বিরোধিতা করা উচিত। তাদের ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসের বিরোধিতা করা উচিত। কিন্তু কোনও শিল্পীর বিরোধিতায় আমরা বিশ্বাস করি না!’’ এখানে না থেমে গডকড়ী বলেছেন, ‘‘আমি নিজে গোলাম আলির এক জন বড় ভক্ত। রোজ সকালে তাঁর গান শুনি।’’ তবে ক্ষত মেরামতির এই প্রয়াসে যে গুলাম আলি-বিতর্ক থামার নয়,তা বুঝছে কেন্দ্র।

গোটা ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসলামাবাদ। তাদের যুক্তি, ভারতের কোনও শিল্পীকে নিয়ে এমন আচরণ কখনও করেনি পাকিস্তান। এই আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই পরিস্থিতিতে অভিজিতের মন্তব্য বিতর্কের আগুনে ঘি ঢালল বলেই মনে করছে বলিউড।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।