সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:৩৩

পূজোয় মিথিলাকে শাড়ি উপহার মমতার

ঢাকার মেয়ে মিথিলা এখন কলকাতার বউ। বিয়ের পর প্রথম দুর্গোৎসবে শ্বশুরবাড়ি কলকাতায় আছেন মিথিলা। উৎসব উপলক্ষে পরিচালক বর সৃজিতের বন্ধুদের কাছ থেকে নানা উপহার পাচ্ছেন তিনি। পাচ্ছেন শাশুড়ি ও আত্মীয়দের কাছ থেকেও। এমন উৎসবে যখন রাজ্যপ্রধানের কাছ থেকে শাড়ি উপহার আসে, তখন আনন্দ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে শাড়ি উপহার পেয়ে ভীষণ আনন্দিত রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে শাড়ি উপহার পেয়েছেন মিথিলা। আনন্দে আত্মহারা মিথিলা বলেন, ‘আমি যত দূর জানতে পেরেছি, পূজার সময় তিনি চেষ্টা করেন তার রাজ্যের বিশেষ বিশেষ মানুষকে উপহার পাঠাতে। সৃজিতকে অনেক আগে থেকেই পাঠান। ইন্ডাস্ট্রির বিশেষ লোকেদের, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যাঁদের অবদান রয়েছে, তাদের বিশেষ দিনে তিনি উপহার পাঠান। সৃজিতের স্ত্রী হিসেবে আমি এবার যুক্ত হলাম সেই তালিকায়।’

মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে মিথিলার বর ভারতীয় পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় পাঞ্জাবি উপহার পেয়েছেন। উপহার পেতে বরাবরই ভালো লাগে মিথিলার। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিশেষ মানুষের কাছ থেকে পাওয়া উপহার আরও বিশেষ বলে মনে করছেন তিনি। রাজ্যপ্রধানের এ উপহার তাঁর কাছে ভালোবাসার স্মারক। শাড়িটি কবে পরবেন জানতে চাইলে মিথিলা বলেন, ‘কোন দিন পরব, এখনো ঠিক করিনি। তবে এক দিন তো অবশ্যই পরব। এর মধ্যে একদিন শান্তি নিকেতনে গিয়েছিলাম, আমার শাশুড়ি শাড়ি কিনে দিয়েছেন। ঢাকা থেকেও আমার জন্য জামদানি শাড়ি আসছে, সেগুলোও পরব।’

গত বছরও পূজার সময় কলকাতায় ছিলেন মিথিলা। তবে সেটা খুব অল্প সময়ের জন্য। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এবারই প্রথম কলকাতায় সবার সঙ্গে পূজা উদ্‌যাপন করবেন মিথিলা। মমতার কাছ থেকে পাওয়া উপহারের ছবি ১৭ অক্টোবর নিজের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন মিথিলা। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘চমৎকার পূজার উপহারের জন্য মমতা (মমতা ব্যানার্জি) দিদি আপনাকে ধন্যবাদ।’ ছবিতে দেখা যায়, মিথিলা পেয়েছেন নীল রঙের শাড়ি। আর সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পাঠিয়েছেন লাল রঙের পাঞ্জাবি।

বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পী মিথিলার সঙ্গে ভারতের পরিচালক সৃজিতের বিয়ে হয় গত বছরের ৬ ডিসেম্বর। বিয়ের বিষয়টি শুরুতে তাঁরা দুজনেই গোপন রেখেছিলেন। এরপর কলকাতা শহরে এ বছরের ২৯ এপ্রিল বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এরপরই সৃজিত ‘কাকাবাবু’ সিরিজের তৃতীয় ছবির কাজে আফ্রিকায় চলে যান। মিথিলা ফিরে আসেন বাংলাদেশে। ঠিক ছিল সৃজিত দেশে ফিরলে আবার ভারতে যাবেন মিথিলা। কিন্তু সৃজিত দেশে ফেরার পর শুরু হয়ে যায় লকডাউন। তাই সাড়ে পাঁচ মাস দুজন দুজনের কাছ থেকে আলাদা ছিলেন। উপায় খুঁজছিলেন কীভাবে এক হওয়া যায়। শেষ পর্যন্ত দুই দেশের হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের আন্তরিক সহযোগিতায় মিথিলা ও সৃজিত আগস্টের মাঝামাঝি একত্র হন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত