সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ মে, ২০২১ ২২:৫২

মিতা হকের চল্লিশার টাকা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দান করলেন মেয়ে

একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হকের চল্লিশার জন্য নির্ধারিত পুরো অর্থ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ডায়ালাইসিস সেন্টারে দান করেছেন তার একমাত্র সন্তান সংগীতশিল্পী জয়িতা।

রোববার রাত ৮টার পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে থেকে এক পোস্ট করে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সেই পোস্টে বলা হয়েছে, ‘রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হকের চল্লিশার পুরো টাকা গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ডায়ালাইসিস সেন্টারে দান করেছেন তার একমাত্র সন্তান সংগীত শিল্পী জয়িতা।

‘রোববার (২৩ মে) দুপুরে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে তিনি তার মায়ের চল্লিশা উপলক্ষে খরচের পুরো টাকা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর হাতে তুলে দেন।’

সেই পোস্টে আরও বলা হয়, ‘ডায়ালাইসিস সেন্টারে অসহায় ডায়ালাইসিস রোগীদের সেবায় এগিয়ে আসায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জয়িতা ও তার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। পাশাপাশি দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।’

কিডনি সমস্যা ও করোনা-পরবর্তী জটিলতা নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১১ এপ্রিল রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান মিতা হক।

মিতা হকের জন্ম ১৯৬২ সালে। সংগীত শিক্ষা শুরু চাচা ওয়াহিদুল হকের কাছে। পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন। ১৯৭৭ সাল থেকেই বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সংগীত পরিবেশনা শুরু করেন তিনি।

মিতা হকের এককভাবে মুক্তি পাওয়া অ্যালবামের সংখ্যা ২৪টি। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে। সুরতীর্থ নামে একটি সংগীত প্রশিক্ষণ দল পরিচালনা করতেন তিনি। এছাড়া তিনি ছায়ানটের রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন মিতা হক। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত