সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ মে, ২০১৬ ২২:৩১

জেমস, হাসান ইমাম সহ ২৯ জনের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৪ পুরস্কার বিতরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১১ মে) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই পুরস্কার বিতরণ করেন তিনি।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৪তে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার (প্রধান চরিত্র) পুরস্কার লাভ করেছেন, এক কাপ চা’ ছায়াছবির জন্য চিত্র নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়েছেন যৌথভাবে চিত্র নায়িকা মৌসুমী ও বিদ্যা সিনহা মীম।

অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা লাভ করেন অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম এবং অভিনেত্রী রাণী সরকার। আজীবন সন্মাননা পাওয়া দুই অভিনয়শিল্পীকে দেড় লাখ টাকা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও শ্রেষ্ঠ পরিচালককে এক লাখ টাকা করে এবং অন্যদের ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়।

পুরস্কার হিসেবে ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের তৈরি ১৫ গ্রাম ওজনের ট্রফি নগদ অর্থের চেক এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান একেএম রহমতউল্লাহ এমপি এবং তথ্য সচিব মরতুজা আহমেদ। পুরস্কার প্রদানের পূর্বে সাইটেশন প্রদর্শন করা হয়।

এছাড়া প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেট ১৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। তবে অনুষ্ঠানে পদকের রেপ্লিকা দেওয়া হয়, যা ছিল ছয় গ্রাম স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া ব্রোঞ্জের।

আজীবন সম্মাননা ছাড়া অন্য যেসব ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হয়, সেগুলো হলো- শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘নেকাব্বারের মহা প্রয়াণ’; শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘গাড়িওয়ালা’; শ্রেষ্ঠ পরিচালক জাহিদুর রহিম অঞ্জন (মেঘমল্লার); শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে ফেরদৌস আহমেদ (এক কাপ চা)।

শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে (যৌথভাবে) মৌসুমী (তাঁরকাটা) ও বিদ্যা সিনহা মিম (জোনাকির আলো); শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (পার্শ্ব-চরিত্র) শাহ মো. এজাজুল ইসলাম (তাঁরকাটা); শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (পার্শ্ব-চরিত্র) চিত্রলেখা গুহ (৭১ এর মা জননী)।

শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী (খল চরিত্র) তারিক আনাম খান (দেশা দ্য লিডার); শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী (কৌতুক চরিত্র) মিশা সওদাগর (অল্প অল্প প্রেমের গল্প)।

শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী আবির হোসেন অঙ্কন (বৈষম্য); শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার মারজান হোসাইন জারা (মেঘমল্লার)।

শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক ড. সাইম রানা (নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ); শ্রেষ্ঠ গায়ক মাহফুজ আনাম জেমস (দেশা দ্য লিডার); শ্রেষ্ঠ গায়িকা (যৌথভাবে) রুনা লায়লা (প্রিয়া তুমি সুখী হও) ও মমতাজ (নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ)।

শ্রেষ্ঠ গীতিকার মাসুদ পথিক (নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ), শ্রেষ্ঠ সুরকার বেলাল খান (নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ)।

শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (মেঘমল্লার)। প্রয়াত এই লেখকের পক্ষে পুরস্কার নেন তার ভাই নুরুজ্জামান ইলিয়াস।

শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার সৈকত নাসির (দেশা দ্য লিডার); শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা: জাহিদুর রহিম অঞ্জন (মেঘমল্লার); শ্রেষ্ঠ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন চৌধুরী (দেশা দ্য লিডার); শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক মারুফ সামুরাই (তাঁরকাটা)।

শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক মোহাম্মদ হোসেন জেমী (বৈষম্য); শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক রতন পাল (মেঘমল্লার); শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা কনক চাঁপা চাকমা (জোনাকির আলো); শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান আবদুর রহমান (নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ)।

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র প্রযোজক মাসুদ পথিক (নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ)।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত