বিনোদন ডেস্ক

১১ আগস্ট, ২০১৬ ২০:৫৯

নায়িকা সিমলার বিরুদ্ধে মামলা করছেন পরিচালক

চিত্রনায়িকা সিমলা অভিনীত নতুন ছবি ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ এর কাজ চলছে। ছবির সব কাজ প্রায় শেষ। বাকি ছিলো কেবল একদিনের শুটিং। কিন্তু এই শুটিংয়ের জন্য বার বার শিডিউল দিয়েও স্পটে আসেননি সিমলা। এতে লাখ টাকারও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন নির্মাতা রুবেল আনুশ।

গত পরশু সিমলা কথা দিয়েছিলেন পুরান ঢাকায় শুটিংয়ে অংশ নেবেন। তাকে আনার জন্য গাড়িও পাঠান পরিচালক। সিমলা সেই গাড়ি সারাদিন নিজের কাজে ব্যবহার করে শুটিং করতে স্পটে যান সন্ধ্যায়। ততক্ষণে দিনের আলো শেষ হয়ে যাওয়ায় আর ক্যামেরা ওপেন করেননি আনুশ।

সিমলা তখন কথা দেন বৃহস্পতিবার শুটিং করবেন বলে। তার কথা মতোই আজ বৃহস্পতিবার সব প্রস্তুতি নেয়া হয়। কিন্তু আজও সিমলা শিডিউল অনুযায়ী আসেননি শুটিং স্পটে।

যথাসময়ে শুটিংয়ে না আসায় নির্মাতা আনুশ সিমলার কাছে কৈফিয়ত চাইলে সিমলা তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এমনকি আনুশের জিহ্বা টেনে ছিঁড়ে ফেলার হুমকি দেন বলে দাবি করেন আনুশ।

এ ঘটনার পর শুটিং প্যাকআপ করা হয় এবং সিমলার নামে শিল্পী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ জমা দেন নির্মাতা।

নির্মাতা বলেন, “অনেক আশা নিয়ে সিমলাকে দিয়ে এই ছবির কাজ শুরু করেছিলাম। নায়িকার গাফিলতির জন্য দুই বছর চলে গেল, কিন্তু আমি ছবির শুটিং শেষ করতে পারিনি। এর চেয়ে হতাশার আর কী হতে পারে? জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন শিল্পীর এমন আচরণ সত্যিই প্রশ্নবিদ্ধ।”

আনুশ বলেন, “আমি সিমলা আপার এমন আচরণে খুব কষ্ট পেয়েছি। সে আমার সঙ্গে অন্যায় করেছে। আমার আর্থিক ক্ষতি করেছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো।”

ছবির অভিনেতা শিমুল খান বলেন, “তার মত একজন সিনিয়র শিল্পীর যদি এমন আচরণ হয়, তবে নতুনরা কী শিখবে? কার কাছ থেকে শিখবে কাজের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ? সিমলার জন্য শুধু প্রযোজক বা পরিচালক নয়, অনেকগুলো মানুষকে নানাভাবে ক্ষতি ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আমি মনে করি, সিমলার মত অভিনেত্রীকে নিষিদ্ধ করা উচিত। এইসব দৃষ্টান্ত ভবিষ্যৎকে রক্ষা করবে।”

প্রসঙ্গত, প্রায় দুই বছর আগে ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ ছবির শুটিং শুরু হয়। কিন্তু সিমলা একাধিকবার দেশের বাইরে যাওয়ায় নির্মাতা আনুশ ছবির শুটিং করতে পারেননি। ছবির কাজ যখন একেবারেই শেষের দিকে চলে আসে, তখনই আবারো টালবাহানা শুরু করেন সিমলা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত