দেবব্রত চৌধুরী লিটন

২০ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৫:৫২

মাঘে মেঘে দেখা

খনার বচনে আছে- 'বর্ষে যদি মাঘের শেষ, ধন্য রাজার পূণ্য দেশ।' এখন মাঘের শেষ নয়। মাঘ সবে শুরু হয়েছে। আজ ৭ মাঘ। তবে মাঘ মাসে বৃষ্টির দেখা পাওয়া অনেকটা বিরলই। 'মাঘে মেঘে দেখা' বলেও একটা প্রবাদ চালু আছে বাংলায়। এ মাসে বৃষ্টি শস্য উৎপাদনের জন্য সুফল বয়ে আনে।

আজ (বুধবার) মাঘের ভোরে সিলেটে কয়েক পশলা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে নগর জোরে বইছে হিমেল হাওয়া। বুধবার দুপুর পৌনে ১২টায় দিনের আরেক পশলা বৃষ্টি হয়।

মাঘ মাসের বৃষ্টিকে মঙ্গলজনক মনে করাহলেও আজকের বৃষ্টিতে বিপাকেও পড়েছেন অনেকেন। বৃষ্টিতে নগরীর অনেক সড়ক হয়ে পড়েছে কর্দমাক্ত। যারা শীতের গরম কাপড় না নিয়ে দৈনন্দিন কাজের উদ্দেশ্য বের হয়েছেন তাদেরকে আকস্মিক বৃষ্টির কারণে তারাও বিপাকে পড়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, মাঘের শেষে বৃষ্টির সঙ্গে শস্যের ধারণাটিকে বিদূষী খনা চমৎকারভাবে রাষ্ট্রশাসন এবং দেশের সুঅবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন। একটি রাজ্যে শস্যের উৎপাদন ভালো হলে দেশের মানুষ খেয়ে-পড়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে এবং রাজার সুশাসনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। সেই রাজাই ধন্য যিনি এমন পুণ্য দেশের শাসক।'

বহুকাল ধরে মানুষ বিশ্বাস করে আসছে, মাঘের শেষে বৃষ্টি দেশে সুশাসনের লক্ষণ। এমনটি প্রতিফলিত হয়েছে যুগ-যুগান্তরে।

বয়োবৃদ্ধ অনেকে মাঘ মাসে এই বৃষ্টিপাতকে দেখছেন ভাল লক্ষণ হিসেবে। জমির ফসল উৎপাদনের জন্য এই বৃষ্টিকে খুবই প্রয়োজনীয় হিসেবে বিবেচনা করেন অনেক। এখন বোরো ধানের বীজ বপণের সময় চলছে। এ সময়ে বৃষ্টি কৃষকের জন্য আনন্দের বার্তা নিয়ে এসেছে।

শাহপরান এলাকার বাসিন্দা পঞ্চাশউর্দ্ধ নাসিম উদ্দিন জানান, পুর্ব পুরুষরা মাঘে মেঘে দেখা হওয়ার লক্ষণকে সৌভাগ্যের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করেছেন জমিতে ফসল উৎপাদনের জন্য।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত