বিবিসি বাংলা

১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ২২:৫১

বাংলাদেশে নতুন দুটি ধানের জাত উদ্ভাবন

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের একদল বিজ্ঞানী দীর্ঘসময় গবেষণা করে ধানের দুটি নতুন জাত বিআর ৮৮ এবং বিআর ৮৯ জাত উদ্ভাবন করেছেন।

ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের গবেষক ড.মো আলমগীর হোসেন বলেন, বোরো মৌসুমের জন্য উচ্চ-ফলনশীল ধান এটি।

এই দুটি ধানের জীবনকাল হবে বপন করা থেকে ধান কাটা পর্যন্ত ১৪৩ দিন। এর ফলন প্রতি হেক্টরে সাত টন হবে। ধানটি প্রথমে গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হয়েছে।

এরপর বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসোর্স কাউন্সিলের টেকনিক্যাল কমিটিতে এই ধানের সফলতার বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে।

এখন এটা ন্যাশনাল সীড বোর্ডে চূড়ান্ত পর্যায়ে অনুমোদন হবে। মি. হোসেন বলছিলেন, সাধারণত বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ কাউন্সিলের টেকনিক্যাল কমিটিতে অনুমোদন হলে সেটা পরবর্তীতে চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে অসুবিধা হয় না।

এই দুটি ধানের জাত উদ্ভাবন করতে ১৮ বছর সময় লেগেছে বলে তিনি জানিয়েছে।

বর্তমানে দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় উচ্চ-ফলনশীল ধান ব্রি ধান ২৮।

এখন দুটি জাত ব্রি ধান ২৮ এবং ২৯ এর সাথে নতুন জাত বিআর ৮৮ এবং বিআর ৮৯ এর মূল পার্থক্য কী হবে?

তিনি বলছিলেন "২৮ এর মত গ্রোথ হবে কিন্তু ফলন বেশি হবে। জাতীয়ভাবে ১০টা স্থানে তারা পরীক্ষামূলক ফলন করেছেন। সেখানে প্রতি হেক্টরে ৬০০ কেজি ধানের ফলন বেশি হয়েছে"। তবে তারা আশা করছেন কৃষকরা চাষ করা শুরু করলে পরবর্তীতে এই ফলন আরও বাড়বে।

এর আরও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ধানটা হবে চিকন, সুস্বাদু, ২৮শের মত জীবনকাল কিন্তু ফলন বেশি। আগামী দুই এক বছরের মধ্যেই কিছু কিছু কৃষকের কাছে ধানটা পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন।

এরআগে ১৯৯৪ সালে ব্রি ধান ২৮ এবং ২৯ উদ্ভাবন করে ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট। দীর্ঘদিন ধরে এই দুইটি জাতের ফসল উৎপাদন করে কৃষক ব্যাপক লাভবান হয়েছেন বলে গবেষকরা বলছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত