০৩ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:৩৮
তথ্য-সূত্র : বাংলামেইল
আসলে আতঙ্কিত হওয়ার মতোই তথ্য। তবে সন্ত্রাসীদের জন্য। যেখানেই লুকিয়ে থাকুক দুর্বৃত্ত এই ড্রোনের সাহায্যে তাদের অবস্থান ঠিক বের করে ফেলা যাবে।
পেন্টাগনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি গবেষণা সংস্থা ডিএআরপিএ হালকা দ্রুত ও স্বয়ংক্রিয় (এফএলএ) প্রকল্পের আওতায় এই ড্রোন নিয়ে গবেষণা চলছে। এই ছোট্ট ড্রোনের গতি ঘণ্টায় ৪৫ মাইল। দ্রুত গতির কারণে এটি কৌশলগত অভিযানেও ব্যবহার করা যাবে।
পাখি বা কীটপতঙ্গের মতো ক্ষুদ্র হওয়ায় খুব সরু পথ দিয়েও অত্যন্ত দ্রুত গতিতে উড়তে পারবে।
প্রচলিত ড্রোনগুলো দূর থেকে পাইলট স্যাটালাইটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। একই সঙ্গে জিপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে এর গতিপথ নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এটি কেবল কোনো জায়গার উপরিভাগের ছবি ধারণ করতে সক্ষম। কোনো কারণে জিপিএস সিস্টেমে জ্যামিং হলে এটি তার লক্ষ্য খুঁজে পাবে না।
কিন্তু পতঙ্গের মতো ক্ষুদ্র এই ড্রোন যে কোনো স্থানেই প্রবেশ করতে পারবে। এছাড়া এটি হবে স্বয়ংক্রিয় বা স্বনিয়ন্ত্রিত। অর্থাৎ স্যাটালাইটের সহায়তায় মনুষ্য পাইলটের মাধ্যমে পরিচালিত করতে হবে না। এছাড়া কেবল স্থলভাগেই নয় জলের ভেতরেও অভিযান চালাতে পারবে।
অত্যাধুনিক ও কার্যকর এই ড্রোন তৈরির লক্ষ্যে বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন কীটপতঙ্গ ও পাখি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে ডিআরপিএ।
তবে অনেকের আশঙ্কা, এ ধরনের ড্রোন মানবিক বিপর্যয়ের সময়ে ব্যবহারের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত হয়তো সামরিক উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করবে যুক্তরাষ্ট্র।
আপনার মন্তব্য