সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ জুলাই, ২০১৬ ১৭:৫২

ফেসবুক, ইউটিউবেও বন্ধ হচ্ছে জাকির নায়েকের বক্তব্য

জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ‘জঙ্গিবাদে উৎসাহ যোগানোর’ অভিযোগ ওঠার পর বাংলাদেশে পিস টিভির ডাউন লিংকের অনুমতি বাতিল করেছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে পিস টিভির মাধ্যমে জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায়ও এই টিভির সম্প্রচার ও জাকির নায়েকের বক্তব্য প্রচার বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

ফলে বাংলাদেশ থেকে ফেসবুক, ইউটিউব সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে দেখা যাবে না নিষিদ্ধ ঘোষিত পিস টিভি ও জাকির নায়েকের বক্তব্য।

শিগগিরই টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। 

এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘উস্কানিমূলক বক্তব্যগুলো বন্ধ করছি। ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব বক্তব্য চিহ্নিত করে সেই লিংক বন্ধের কাজ শুরু হয়েছে।ইউটিউব থেকে পিস টিভির জাকির নায়েকের ভিডিও’র ইউআরএল সরানোর কাজও শুরু হয়েছে।’

বাংলাদেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধে সোমবার (১১ জুলাই) প্রজ্ঞাপন জারি করে তথ্য মন্ত্রণালয়। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বাংলাদেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়ার পরদিন তথ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ডাউন লিংকের শর্ত ভঙ্গ করায় বিদেশি ফ্রি-টু-এয়ার টিভি চ্যানেল পিস টিভির ডাউন লিংকের অনুমতি বাতিল করা হল।’

এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের ভেতরে পিস টিভির সব ধরনের সম্প্রচার বন্ধের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হল।’

ইসলামী বক্তা হিসেবে জাকির নায়েককে নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। জঙ্গিবাদের প্রতি সমর্থনসূচক বক্তব্য এবং ওহাবী মতবাদ প্রচারকারী হিসেবে অনেকেরই সন্দেহের তীর তার দিকে।

জাকির নায়েক পরিচালিত মুম্বাইভিত্তিক ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিষ্ঠান পিস টিভি। এ টিভিতে ধর্ম নিয়ে আলোচনায় তার বিভিন্ন ব্যাখ্যা নিয়ে ‘বিতর্ক’ তৈরি হয় বিভিন্ন সময়ে।

ভারতে এ টেলিভিশনের অনুষ্ঠানের কোন বৈধ অনুমতি নেই। তবে কেবল অপারেটরদের অনেকেই প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অনেক জায়গায় এটা প্রচার করছে বলে অভিযোগ উঠার পর সরকার সব ধরনের সম্প্রচার বন্ধ করতে উদ্যোগ নিয়েছে।

গত ১ জুলাই গুলশানে জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে অন্তত ২ জন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জাকির নায়েকের মত ইসলামী বক্তাদের নিয়মিত অনুসরণ করতেন। তার কথায় ভারতীয় তরুণরাও আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর জাকির নায়েকের বক্তব্য সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে উদ্যোগী হয় ভারত সরকার। তদন্ত শুরু করে মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার জাকির নায়েকের প্রকাশিত বই, বক্তব্যের অডিও-ভিডিও সিডি। মুম্বাইয়ে তার অফিস ঘিরে মোতায়েন করা হয় পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত