আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০১ জুন, ২০২০ ১৯:০৮

করোনা চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যে ৫ ওষুধের ট্রায়াল চলছে

যুক্তরাজ্যের ৩০ টি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসায় পাঁচটি ওষুধের ট্রায়াল চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা চিকিৎসায় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানানোর কয়েক দিন পর এই ট্রায়াল শুরু করা হয়।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যে ওষুধগুলো ট্রায়ালে রয়েছে তার একটি হচ্ছে হেপারিন। রক্ত তরল করতে এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়। পেশি, ফুসফুস ও রক্তে সমস্যায় ব্যবহৃত এই ওষুধটির মধ্যে অ্যান্টিভাইরাল উপাদান থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

নরওয়ের ওষুধ কোম্পানি বারজিবায়ো উৎপাদিত বেমসেনটিনিব ট্যাবলেট রক্তের ব্যাধিতে ব্যবহার করা হয়।

শ্বাসযন্ত্রের ওষুধ বিশেষজ্ঞ টম উইলকিনসন বলেন, ‘সম্ভাব্য অ্যান্টিভাইরাল কার্যকারিতা থাকায় এই ওষুধটির সম্ভাবনা রয়েছে। ইবোলা ও সার্স করোনাভাইরাস-২ সহ বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। এই ওষুধটি কোষকে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

বিজ্ঞাপন

চর্ম ও ফুসফুসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় প্রদাহ বিরোধী ইনজেকশন মেডি ৩৫০৬। অ্যাজমা ও অ্যাস্ট্রাজেনেসা চিকিৎসার জন্যও এর ট্রায়াল হয়েছিল।

আরেকটি অ্যাস্ট্রাজেনেসার ওষুধ হচ্ছে ক্যালকুইন্স। কোষে লুকানো ক্যান্সার চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হয়। ফুসফুসে তীব্র প্রদাহ চিকিৎসায়ও এটি ব্যবহৃত হয়। এই ওষুধটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ফুসফুসের জটিলতা কমায় বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বেলজিয়ামের প্রতিষ্ঠান বেলজিয়ান বায়োফার্ম কোম্পানি উৎপাদিত ওষুধ হচ্ছে জুলিকোপলান। পেশি দুর্বলতার চিকিৎসায় এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, করোনার চিকিৎসার জন্য সম্ভাব্য ২০০ ওষুধের তালিকা থেকে এই পাঁচটি ওষুধ বেছে নেওয়া হয়েছে। যদি এগুলো কার্যকর বলে প্রমাণ না হয় তাহলে পরের ব্যাচের ওষুধ ট্রায়ালের জন্য ব্যবহার করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত