০৫ জুন, ২০২০ ০০:২১
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বৃহস্পতিবার বেসরকারি বাস ও মিনিবাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে এজন্যে রাজ্য সরকারকে বাড়াতে হয়নি বাসভাড়া, যদিও এনিয়ে চাপ ছিল ভীষণ।
এক সপ্তাহ ধরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে যাত্রী এবং ভাড়া নিয়ে বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের দফায় দফায় বৈঠক চলছিল। রাজ্য সরকার প্রথম ঘোষণা দিয়েছিল, একটি বাসে ২০ জন যাত্রী নেওয়া যাবে এবং আপাতত ভাড়াও বাড়াতে পারবে না। বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি ক্ষতির কারণে তা মেনে নেয়নি। সরকারি বাস সপ্তাহখানেক আগে থেকেই রাস্তায় পুরোনো ভাড়া নিয়ে এবং যাত্রীসংখ্যা ২০ জন নির্ধারণ করে বাস সেবা শুরু করে।
বিজ্ঞাপন
৩১ মে লকডাউনের চতুর্থ দফা শেষ করে ১ জুন শুরু হয় আনলক-ওয়ান। এতে রাস্তায় মানুষের চাপ বেড়ে যায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা দেন, যে বাসে যত আসন, তত যাত্রী নেওয়া যাবে। ভাড়া বাড়ানো যাবে না। এতেও রাজি হয়নি বেসরকারি বাস ও মিনিবাস মালিকেরা।
রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বুধবার বাস মালিক সমিতির বিভিন্ন সংগঠন, জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট, মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিশেন কমিটি, ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস এসেসিয়েশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরিবহনমন্ত্রী আশ্বাস দেন, ভাড়া বাড়ানোর লক্ষ্যে রেগুলেটরি কমিটি হবে। বাস মিনিবাসের চালক ও চালকের সহযোগীদের স্বাস্থ্য বীমাসহ অন্যান্য বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হবে। এরপর বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি পুরনো ভাড়ায় বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতা মহানগরীসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বাস চালাতে রাজি হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার রাজ্য সচিবালয় নবান্নে বলেছেন, চালক ও চালকের সহযোগীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের বুলেটিনে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে আরও ৩৯৬ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। মারা গেছে আরও ১০ জন। এখন রাজ্যে করোনায় ৬ হাজার ৫০৮ জন সংক্রমিত বলে শনাক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৫ জন। এই রাজ্যে মৃত্যুহার ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
আপনার মন্তব্য