সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ অক্টোবর, ২০১৫ ০১:২৫

সিরিয়ার যুদ্ধে রাশিয়ার লাভ-ক্ষতি

বর্তমান সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থা কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। সিরিয়ায় আইএসের উপর রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ও নৌ বাহিনীর হামলার পর থেকে তা আরো কঠিন রূপ নিচ্ছে।

মনে করা হয়, সিরিয়ার সংকটের সঙ্গে রাশিয়া নিজেকে জড়াচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে তার আঞ্চলিক স্বার্থের জন্য নয়, বরং রাশিয়ার জাতীয় স্বার্থে। সে কারণেই সিরিয়াতে রুশ সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়নি। এই অভিযানের সামরিক লক্ষ্য হচ্ছে আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিরিয়ার সরকারকে বিমান বাহিনী দিয়ে সাহায্য করা।

সিরিয়ার সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক সাহায্যের অনুরোধ আসার পরই রাশিয়া ওই সিদ্ধান্ত নেয়। সেপ্টেম্বরের গোড়াতেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জাতিসংঘে ভাষণ দেয়ার সময় আইএস-এর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জোট তৈরি করার তাগিদ দেন।

সম্প্রতি কাস্পিয়ান সাগরের চারটি রুশ যুদ্ধজাহাজ থেকে কমপক্ষে ২৬টি ক্রুজ মিসাইল আইএসের বিভিন্ন অবস্থানে আঘাত হেনেছে এবং লক্ষ্যবস্তু পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। ওদিকে, রুশ যুদ্ধবিমান হামলার সহায়তা নিয়ে সিরীয় সেনাবাহিনীও দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্রোহীদের দখলে থাকা শহরগুলো নিয়ন্ত্রণে নিতে অভিযান জোরালো করেছে। রাশিয়া গত কয়েকদিন ধরেই আভাস দিয়ে আসছিলো যে, প্রয়োজনে সিরিয়ায় তারা নৌশক্তিও ব্যবহার করবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ক্রাইমিয়া দখল ও পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য রাশিয়া যে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলো, তার ইতি ঘটবে রাশিয়া আবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমপর্যায়ের পরাশক্তি হিসেবে স্বীকৃতি পেলে।

সেই সঙ্গে আসাদ প্রশাসনও অন্তত কিছুদিনের জন্য রেহাই পাবে যা রাশিয়ার শক্তিমত্তার আরেক প্রমাণ হিসেব গণ্য হবে।

যুক্তরাষ্ট্র যদি আইএস বিরোধী একটি যৌথ অভিযানে সম্মত নাও হয়, সেক্ষেত্রেও ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার নতুন সামরিক ঘাঁটি কেউ কেড়ে নিতে পারবে না, রাশিয়ার ওটাই লাভ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত