আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৯ আগস্ট, ২০২০ ১৯:১০

উহানের মঙ্গলবার থেকে সকল স্কুল খুলে দেয়া হচ্ছে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের সব স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন আগামী মঙ্গলবার থেকে খুলছে। উহানের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী মঙ্গলবার থেকে শহরটির দুই হাজার ৮৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। গতকাল স্থানীয় কর্তৃপক্ষ স্কুল খোলার এই ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে, গত ২৪ আগস্ট থেকে খুলেছে উহান বিশ্ববিদ্যালয়।

তবে, শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় মাস্ক পরতে এবং সম্ভব হলে গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছে উহান কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে স্কুলগুলোকেও রোগনিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা রাখতে, শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে ও

গাদাগাদি এড়াতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও, স্কুলগুলোকে প্রতিদিনের অবস্থা নিয়ে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দিতেও বলা হয়েছে। বিদেশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা স্কুল থেকে নোটিশ পাওয়ার আগ পর্যন্ত ফিরতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গত বছরের ডিসেম্বরে উহান শহরেই প্রথম করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়। এরপর দ্রুতই যা পুরো চীন এবং এরপর সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ লকডাউন দেওয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করাসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এই ভাইরাসের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি।

বিজ্ঞাপন

এখনো করোনাভাইরাসের সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। তবে, বেশকিছু ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। যদিও বিশ্বের অনেক দেশই এখন করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে, তবে, আরও আগেই এটি নিয়ন্ত্রণে এনেছে চীন।

করোনার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে চীনের উহান শহরেই। জানুয়ারি থেকে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে শহরটি লকডাউনে ছিল। এপ্রিল থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে উহানের পরিস্থিতি। গত ১৮ মে থেকে এখন পর্যন্ত উহানে স্থানীয়ভাবে আর কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার ৫৮৭ জন। মারা গেছেন আট লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৬২ লাখ ২১২ জন। এর মধ্যে, চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ হাজার ৮৩৬ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৭১৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৪ হাজার ৪১৯ জন। বর্তমানে সংক্রণের দিক থেকে শীর্ষ তিনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও ভারত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত