সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ নভেম্বর, ২০২০ ০৯:৪৫

ট্রাম্প, না বাইডেন?

আজ মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রতিবারই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়ে থাকে, এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। নির্বাচনে কে জিতবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, নাকি জো বাইডেন- এই প্রশ্নে বিভক্ত এবং উদ্বিগ্ন অনেকেই।

আজ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৬টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়) ভোটকেন্দ্র খোলা হবে। ভোট চলবে স্থানীয় সময় রাত ৯টা (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৮টা) পর্যন্ত। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার গভীর রাতে ভোটের ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে, জনমত জরিপে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন প্রায় ১০ পয়েন্টে এগিয়ে থাকলেও তার জয়ের নিশ্চয়তা মিলছে না। প্রশ্ন আছে জো বাইডেন জিতলে ট্রাম্প শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হবেন কিনা। আছেন নির্বাচনোত্তর সহিংসতা ও বিক্ষোভের শঙ্কাও।

ট্রাম্প আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি ভোটের ফল চ্যালেঞ্জ করবেন। গতকাল সোমবার পেনসিলভানিয়ায় শেষ দিনের জনসভায় এমনটাই জানিয়েছেন ট্রাম্প। এদিকে বাইডেন বলেছেন, 'প্রেসিডেন্টকে নির্বাচনকে চুরি করার সুযোগ দেওয়া হবে না।'


৭৪ বছর বয়স্ক ট্রাম্প নানা ক্ষেত্রে সমালোচিত হলেও তিনি তার প্রথম শাসনামলে কোনো দেশের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াননি। দেখিয়েছেন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাফল্যও। তবে চলমান করোনা মহামারি নিয়ে তার অবস্থান বিতর্কিত। প্রথম থেকেই বৈশ্বিক এই মহামারিকে তিনি পাত্তা দেননি। নিজেও আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে। তার এই অবস্থানের কারণে দেশটিতে করোনার নজিরবিহীন সংক্রমণ ঘটেছে। বিশ্বে সংক্রমণ ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ রয়েছে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধেই ৯৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৩৪ হাজারের বেশি মানুষের। বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশটিতে দৈনিক ৮০ হাজারের বেশি লোক আক্রান্ত হচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ভোটার ১৫ কোটি ৩০ লাখ। এর মধ্যে সাড়ে ৯ কোটি লোক আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন। এটা একটা রেকর্ড। ২০১৬ সালের নির্বাচনে যত ভোট পড়েছিল তার দুই-তৃতীয়াংশ ইতোমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় জরিপের ভিত্তিতে সিএনএনের গড় সমীক্ষায় বাইডেনের সমর্থন ৫২ শতাংশ, ট্রাম্পের ৪২ শতাংশ। দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের সমীক্ষাতেও উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া, ফ্লোরিডা, আরিজোনার মতো রাজ্যগুলোতে এগিয়ে আছেন বাইডেন। অন্যান্য সমীক্ষাতেও পাল্লা ভারী বাইডেনেরই। তবে পপুলার ভোট তথা জাতীয় নির্বাচনের ভিত্তিতে করা এসব সমীক্ষা সবসময় শেষ কথা বলে না। এসব সমীক্ষায় এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে হেরে যাওয়ার নজির অনেক রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের নির্বাচনেও হিলারি ক্লিনটন ৩০ লাখের বেশি ভোট পেলেও ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে ট্রাম্পের কাছে হেরে যান। তখন ট্রাম্প ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছিলেন ৩০৬টি, হিলারির পেয়েছিলেন ২৩২টি। অথচ মোট ভোটের ৪৮.২ শতাংশ পেয়েছিলেন হিলারি, ট্রাম্প পেয়েছিলেন ৪৬.১ ভাগ।

যুক্তরাষ্ট্রের ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৭০টি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি দেশটির সিনেটের এক-তৃতীয়াংশ, প্রতিনিধি পরিষদের সব আসনে এবং কিছু রাজ্যে গভর্নর পদেও ভোট হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত