আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০২ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ১৫:১৭

যুক্তরাজ্যে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ও রাজনীতিকদের অবৈধভাবে আটকের প্রতিক্রিয়া জানাতে লন্ডনে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে যুক্তরাজ্য। এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, অভ্যুত্থানের পরপরই দেশটির রাষ্ট্রদূতকে এ বিষয়ে তলব করা হয়।

বার্তা সংস্থাটির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেন, লন্ডনে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিউ জাওয়ার মিনকে পররাষ্ট্র দপ্তরে তলব করা হয়। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের এশিয়াবিষয়ক মন্ত্রী নাইজেল অ্যাডামস মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছেন। মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিসহ দেশটির বেসামরিক নেতাদের অবৈধভাবে আটকেরও নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারে আটক বেসামরিক নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নাইজেল। এছাড়া মিয়ানমারের নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শান্তিপূর্ণভাবে পুনরায় ডাকার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

লন্ডনে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলবের আগে গতকাল যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে টুইট করেন। টুইটে জনসন বলেন, ‘মিয়ানমারে সু চিসহ বেসামরিক নেতাদের আটক ও সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় আমি নিন্দা জ্ঞাপন করছি। সাধারণ মানুষের ভোটাধিকারকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে। বেসামরিক নেতাদের ছেড়ে দিতে হবে।’

মিয়ানমারে গতকাল সোমবার রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। তার আগে তারা মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতাদের আটক করে।

জনগণের ভোটে নির্বাচিত সু চির সরকার উৎখাতের পর মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং সব ক্ষমতা গ্রহণ করেন। সামরিক বাহিনী দেশটিতে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করে। মিয়ানমারে রাজনীতিকদের আটক ও সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বনেতারা। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা-সংগঠনও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত