ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১১ নভেম্বর, ২০১৫ ২০:২৭

মিয়ানমারে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে সুচির এনএলডির মধ্যে উদ্বেগ

মিয়ানমারের নির্বাচনে বিরোধী নেত্রী অং সান সু চির দল এনএলডির বিরাট সাফল্যকে দেশটির প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র অভিনন্দন জানিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

এই নির্বাচনের ফল প্রকাশে ইচ্ছে করে দেরি করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নাকচ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্টের এই মুখপাত্র।

নির্বাচনে এ পর্যন্ত যে চল্লিশ শতাংশ আসনের ফল প্রকাশিত হয়েছে, তার নব্বই শতাংশই জিতেছে এনএলডি। অং সান সু চি ইতোমধ্যে জাতীয় সমঝোতার লক্ষ্যে সামনের সপ্তাহে বৈঠকের বসার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর প্রেসিডেন্ট আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।

মিয়ানমারে নির্বাচন হয়েছে রোববার। কিন্তু তিনদিন পর এসে মাত্র ৪০ শতাংশ আসনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। কেন এত দেরি হচ্ছে, তা নিয়ে একদিকে যেমন অধৈর্য্য হয়ে পড়ছে সু চির সমর্থকরা, তেমনি ক্ষমতা হস্তান্তর কতটা মসৃণ হয় তা নিয়ে উদ্বেগও তৈরি হচ্ছে। রাজধানী ইয়াংগুনের রাস্তায় মং শোয়ে টুন নামে এক পথচারী বলছেন ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে তিনি কিছুটা উদ্বিগ্ন।

''১৯৯০ নির্বাচনের পর অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না। এবারও সেই উদ্বেগ হচ্ছে এবং সেটা সহজে যাবে না।''

জনগণের এই উদ্বেগের কথা বুঝেই হয়তো মিয়ানমারের সেনা সমর্থিত সরকারের পক্ষ থেকে বুধবার পরোক্ষাভাবে অং সাং সু চিকে নির্বাচনী সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

প্রেসিডেন্টর মুখপাত্র ইয়ে টুট বিবিসিকে বলেন, প্রেসিডেন্ট ইউ থেন সেইন একটি শান্তিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য মিয়ানমারের জনগণকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন। একইসাথে, প্রেসিডেন্ট মিস সু চির দল এনএলডিকেও তাদের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানাতে চান। প্রেসিডেন্ট আশা করেন এনএলডি ভবিষ্যতে যেন মানুষের আশা আকাঙ্খা মেটাতে পারে।

কিন্তু জাতীয় ঐক্যমত্য নিয়ে একটি আলোচনায় বসার জন্য সরকারকে লেখা অং সান সু চির একটি লিখিত প্রস্তাবে সরকার সাড়া দেয়নি।

প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেছেন, নির্বাচনের পুরো পলাফল পাওয়ার পরেই সে ধরণের আলোচনার প্রশ্ন আসতে পারে, এখন নয়।

পর্যবেক্ষকরাও বলছেন, নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় হয়েছে বুঝতে পেরেও অং সান সু চি সতর্কভাবে এগুচ্ছেন। কথা বেশি বলছেন না।

কারণ ১৯৯০ এর নির্বাচন নিয়ে খুবই তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল তার। তখনও এন এলডি জিতেছিল, কিন্তু সেনা-সমর্থিত সরকার তা বাতিল করে তাকে গৃহবন্দী করেছিল।

বিবিসির একজন সংবাদদাতা বলছেন, ইচ্ছে করেই সু চি নিজেকে এখনই বিজয়ী ঘোষণা করছেন না বরঞ্চ পরাজয় হজম করে নেওয়ার জন্য বর্তমান সরকারকে তিনি সময় দিচ্ছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত