সিলেটটুডে ডেস্ক:

২৯ জুন, ২০২১ ২১:৫০

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জুমার ১৫ মাসের কারাদণ্ড

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে ১৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে একটি দুর্নীতি মামলার তদন্তে হাজির হননি জুমা। এ কারণে আদালত অবমাননার দায়ে তাকে মঙ্গলবার এ কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে জুমাকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে। না হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শিশি খামপেপে বলেন, জুমা আদালত অবমাননার দায়ে অপরাধী।  খবর বিবিসির।

ক্ষমতায় থাকাকালে জ্যাকব জুমার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছেন দেশটির উপপ্রধান বিচারপতি রেমন্ড জোনডো। গত ফেব্রুয়ারিতে তদন্তের জন্য তলব করা হলেও হাজির হননি জুমা। তিনি দাবি করেন, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণে তার বিরুদ্ধে এই তদন্ত করছেন জোনডো।

জ্যাকব জুমার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় তার প্রায় ৯ বছরের শাসনামলের অবসান ঘটে। জুমার বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ, তিনি রাষ্ট্রীয় অর্থ লোপাট করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ব্যবসায়ীদের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দিয়েছেন।

১৯৯৩ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরের তিন ভাই অজয় গুপ্ত, অতুল গুপ্ত ও রাজেশ ওরফে টনি গুপ্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যবসা শুরু করেন। ২০১৩ সালে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনীতিকদের সঙ্গে পরিবারটির ঘনিষ্ঠতা সামনে আসে।

জ্যাকব জুমার আনুকূল্য পেয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত 'গুপ্ত পরিবার' দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ আছে। তবে জুমা বলে আসছিলেন, বিদেশি কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা এক দশক ধরে তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই মিথ্যা।

তবে গুপ্ত পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের কথা কখনো অস্বীকার করেননি জুমা। 'গুপ্ত পরিবারের' সঙ্গে জুমা পরিবারের গভীর সম্পর্কের কারণে এক সময় দুটি পরিবারকে একসঙ্গে 'জুপ্তা' বলা হতো।

গুপ্ত পরিবারের মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানি জুমার শাসনামলে সরকারি বড় বড় প্রকল্পের কাজ পেত। এমনকি তাদের প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে জ্যাকব জুমার ছেলে দুদুজানেকেও নিয়োগ দিয়েছিল তারা।

জুমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঘনিষ্ট সম্পর্কের কারণে অনেক সময় 'গুপ্ত ভ্রাতৃত্রয়' দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করতেন। এক্ষেত্রে তাদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন না হলে সরকারি কর্মকর্তাদের পদচ্যুতও করা হতো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত