আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৫ আগস্ট, ২০২১ ১৫:৫৮

কাবুলে ঢুকছে সশস্ত্র তালেবান

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করতে শুরু করেছে সশস্ত্র তালেবান-জঙ্গিরা। রোববার (১৫ আগস্ট) আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, তালেবানরা চারদিক দিয়ে রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করছে। তবে, এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি।

আফগান প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এক বার্তায় বলা হয়েছে, কাবুলের আশপাশে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে গুলির শব্দ শোনা গেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

কাবুল দখল করার উদ্দেশ্যে তালেবানরা অগ্রসর হওয়ায় সরকারি অফিস থেকে ভীত কর্মকর্তারা পালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে মার্কিন দূতাবাসে হেলিকপ্টার অবতরণ করেছে।

তিন জন আফগান সরকারি কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপি'কে জানান, তালেবানরা রাজধানীর কালাকান, কারাবাগ ও পাঘমান জেলাগুলো দখল করে নিয়েছে। পরবর্তীতে তালেবানরা প্রতিশ্রুতি দেয় যে, তারা 'জোরপূর্বক' রাজধানী শহর দখল করবে না।

তালেবানরা আরও জানায়, 'কারও জীবন, সম্পত্তি ও মান সম্মানের ওপর হামলা করা হবে না এবং কাবুলের নাগরিকদের জীবনের ওপর কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই।'

সব দিক দিয়ে কাবুলে অনুপ্রবেশ করলেও তালেবানরা আফগান সরকারের সঙ্গে 'শান্তিপূর্ণ আত্মসমর্পণ' নিয়ে আলাপ করছে বলেও জানিয়েছে তালেবানের এক মুখপাত্র। রাজধানী অভিমুখে খুব দ্রুত যাত্রা করলেও দলটি তাদের যোদ্ধাদের সহিংসতা এড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। দোহায় একজন তালেবান নেতা জানান, যারা শহর থেকে বের হয়ে যেতে চান, তাদেরকে নিরাপদে বের হয়ে যাওয়ার এবং নারীদের সুরক্ষিত স্থানে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দেবেন তারা। এ ছাড়াও, যোদ্ধাদের কাবুলের সব প্রবেশমুখে অবস্থান নিতে বলা হয়েছে।

অপরদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত শনিবারের এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানে আরও এক হাজার সেনা পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছেন।

বাইডেন বলেন, 'দেশটি থেকে মার্কিন ও মিত্র দেশের নাগরিকদের, যেসব আফগান নাগরিক আমাদের সৈন্যদের অভিযান চলাকালীন সময়ে সহায়তা দিয়েছেন এবং তালেবানদের অগ্রসর হওয়ার কারণে বিশেষ ঝুঁকিতে থাকা অন্য সব ব্যক্তিকে নিরাপদে ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে বের করে আনার জন্য' তিনি এই অনুমোদনটি দিয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আফগান ছাত্রদের যুক্তরাজ্যের সরকার যেসব বৃত্তি প্রদান করে থাকে, সেটি তারা আগামী মাস থেকে আর দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে।

সারাবিশ্বের সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করার জন্য শেভেনিং বৃত্তি দেওয়া হয়ে থাকে।

তবে, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের দূতাবাস এ বছরের বৃত্তি দেওয়ার জন্য যথোপযুক্ত প্রস্তুতি নিতে পারেনি।

একজন বৃত্তি প্রত্যাশী ছাত্র নাইমাতুল্লাহ জাফারি বিবিসিকে জানান, হতাশ শিক্ষার্থীরা কান্নাকাটি করছেন এবং কেউ কেউ অসুস্থও হয়ে পড়েছেন।

তিনি বলেন, 'আমি ঘুমাতে পারছি না। যখন আমাদের এই সহায়তাটি সবচেয়ে বেশি দরকার, তখনই তা কেড়ে নেওয়া হলো।'

আপনার মন্তব্য

আলোচিত