নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ আগস্ট, ২০২১ ১৩:৪৮

প্রাণভয়ে পালানোর যে ছবি নাড়িয়ে দিয়েছে নেটিজেনদের

উগ্রবাদী গোষ্ঠী তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর প্রাণনাশের শঙ্কায় পালাচ্ছেন আফগানরা। আফগান সীমান্তে যেমন ভিড় বেড়েছে, তেমনি ভিড় বেড়েছে কাবুল বিমানবন্দরেও। বিমানে হুড়োহুড়ি করে উঠার দৃশ্য আর ছোট্ট বিমানের ধারণক্ষমতার চাইতে অন্তত পাঁচগুণ যাত্রীর ছবিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) প্রতিবেদনে টুইটারের সূত্র উল্লেখ করে পার্থ নাও অনলাইনে এসি জেট-১৭ বিমানের ভেতরের একটি ছবি প্রকাশ করেছে যেখানে অন্তত ৬৪০ জন শরণার্থী ছিলেন। এতে লিখা হয় রোববার রাতে ৬৪০ জন শরণার্থী নিয়ে বিমানটি কাবুল ত্যাগ করে। বিমানটির গন্তব্য কোথায় সেটা অবশ্য এপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

এপি জানায়, তালেবানদের ভয়ে মরিয়া আফগানরা সোমবার কাবুলের বিমানবন্দরে সামরিক জেটকে আটকে রেখেছিল, এবং সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় অন্তত সাতজন মানুষ মারা গেছে।

মানুষ যখন পড়িমরি করে বিমানের দিকে ছুটছিল তখন মার্কিন সেনারা রানওয়ে পাহারার দেওয়ার জন্যে অবস্থান নেয়। তবে জনতা সেই বাধাকে অতিক্রম করে বিমানের দিকেই এগিয়ে যায়। ইউএস এয়ার ফোর্সের বোয়িং সি-১৭ উড্ডয়নকালে লোকজন সেখানেও এগিয়ে যায়। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একদল আফগান বিমান উড্ডয়নের আগমুহূর্তেও বিমানে ঝুলছিল এবং বিমান উড়ার পর কয়েকজনকে পড়ে যেতেও দেখা যায়।

রোববার উজবেকিস্তানের টিকিট পাওয়া শফি আরিফি তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা করে বলেন- তিনি বিমানের টিকিট পেয়েছিলেন, কিন্তু এত মানুষের ভিড় ঠেলে বিমানে প্রবেশ করতে পারেননি। ওই সময়ে সেখানে পুলিশ কিংবা বিমানবন্দরে কোনো কর্মীকে দেখেননি বলেও জানান।

পরিস্থিতির বর্ণনা করে তিনি বলেন, ওই সময় শিশুরা কান্না করছিল, নারীরা চিৎকার করছিল, তবে কেউ কারও কথা শুনতে পারছিল না, এমনকি শ্বাস নেওয়ার মত অক্সিজেনও ছিল না- এমন পরিস্থিতি।

টিকিট পেয়েও তিনি বিমানে চড়তে পারেননি বলেও জানান আরিফি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত