সিলেট টুডে ডেস্ক

০৪ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ১২:২০

জর্ডানের পাইলটকে জীবন্ত পুড়ালো আইএস!

ফের বর্বরোচিত কাজ করে খবরের শিরোনামে জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস।

ফের বর্বরোচিত কাজ করে খবরের শিরোনামে জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস। আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে বন্দী জর্ডনের পাইলটকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এমন এক ভিডিও প্রকাশ করে, ফের বিতর্ক উস্কে দিল ওই জঙ্গি সংগঠন। এই ভিডিও দেখার পর জর্ডন সরকারের তরফে জানানো হয়, খুব শীঘ্রই এই ঘটনার মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখবে বিশ্ব। আর ভিডিও প্রকাশের ২৪ঘন্টার মধ্যেই জর্ডন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে  দুজন আল- কায়দা জঙ্গির। এরমধ্যে একজন ইরাকি মহিলা, যাকে আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠন, বন্দী বিমান চালকের মুক্তির বদলে চেয়েছিল।আইএস জঙ্গি সংগঠনের তরফে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজটি দেখা যাচ্ছে, জঙ্গি গোষ্ঠী এই পদক্ষেপ নিয়েছে, কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জর্ডন ওই জঙ্গি সংগঠনকে দুর্বল করতে ময়দানে নেমেছে।তারজন্যে জর্ডন প্রশাসন আমেরিকাকে বিমান হানায় সাহায্যও করছে। সেই পদক্ষেপের প্রতিশোধ নিতেই গত ডিসেম্বরের ২৪ তারিখ যখন একটি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ে উত্তর সিরিয়াতে, যার চালক ছিলেন মুয়াথ-আল-কাসিআসবের, তাকে বন্দী করে ফেলে আইএস জঙ্গিরা। তার মুক্তিপণ হিসেবে, তারা বদলে দাবি করে ওই ইরাকি মহিলাকে। কিন্তু পরে দেখা যায়, জঙ্গি সংগঠন জর্ডনের বিমানচালক নয়, মুক্তি দিতে চাইছে এক জাপানি বন্দীকে। সেই দেখে জর্ডন চুপ হয়ে যায়, এবং নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর, জঙ্গি গোষ্ঠীর তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, যেখানে দেখা যায়, জাপানি বন্দীর মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়েছে।

 আর গতকালের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিমানচালক একটি খাঁচার ভিতর বন্দী। গ্যোসলিনের মতো কোনও তরল পদার্থে ভিজে গিয়েছে মুয়াথ-আল-কাসিআসবের সমস্ত জামা-কাপড়। তারপর একটি টর্চের সাহয্যে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বিমান চালককে। ভিডিওতে দেখা যায়, প্রথমে নীচের দিক থেকে জ্বলতে শুরু করেন বিমান চালক, তারপর যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে জ্বলে যায় তাঁর পুরো শরীর। এই বর্বরোচিত ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। জর্ডনের তরফে আরও কড়া প্রতিশোধের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত