আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৬ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩ ১৪:৪৭

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে পাঁচ শতাধিক প্রাণহানি

শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় একের পর মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দেশ মিলয়ে পাঁচ শতাধিক প্রাণহানির খবর এসেছে।

তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে উৎপত্তি হওয়া রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাণহানির পাশাপাশি দুই দেশে হাজারের বেশি লোক আহত বলে আনাদুলু জানিয়েছে।

সিরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সহযোগী আহমেদ দামিরেয়ি বলেছেন, তাদের দেশে হতাহতদের অধিকাংশই আলেপ্পো, লাতাকিয়া, হামা ও তারতুস প্রদেশের বাসিন্দা। ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৭ জন হয়েছে। ৬৩৯ জন আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তাদের দেশে এখন পর্যন্ত ২৮৪ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও কয়েকশ মানুষ।

বিবিসির খবরে বলা হয়, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ভূমিকম্পে উভয় দেশে অনেক ভবন ধসে পড়েছে। এতে অনেকেই আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান সম্মিলিতভাবে এ দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা একসাথে এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠব।’

এরদোগান টুইট করে বলেছেন, ‘ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তৎক্ষণাৎ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে এবং অন্যান্য ইউনিট সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।’

সিরিয়ার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের গাজিয়ানটেপে এই শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পে দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব উভয় শহরেই অন্তত ৫০টি ভবন ধসে পড়েছে।

বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে এবং বহু মানুষ আটকা পড়েছে। ধ্বংসস্তূপে আটকেপড়াদের সন্ধান করছেন লোকজন। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা এবং সারা দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে গাজিয়ানটেপ শহরের কাছে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার (১১ মাইল) গভীরতায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

রাজধানী আঙ্কারা এবং তুরস্কের অন্যান্য শহর এবং বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

দিয়ারবাকিরে বিবিসির তুর্কি সংবাদদাতা জানিয়েছেন, শহরের একটি শপিং মল ধসে পড়েছে। গাজা উপত্যকায় বিবিসির একজন প্রযোজক রুশদি আবুলউফ বলেছেন, তিনি যে বাড়িতে ছিলেন সেখানে প্রায় ৪৫ সেকেন্ড কাঁপুনি ছিল।

তুর্কি ভূমিকম্পবিদরা ভূমিকম্পের শক্তি অনুমান করেছেন ৭ দশমিক ৪ মাত্রার। তারা বলেছেন, এই অঞ্চলে মাত্র কয়েক মিনিট পর দ্বিতীয় কম্পন আঘাত হেনেছে।

তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প অঞ্চলে অবস্থিত। ১৯৯৯ সালে দেশটির উত্তর-পশ্চিমে একটি শক্তিশালী কম্পনের পর ১৭ হাজার জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত