আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩ ১৩:১৫

তুরস্কে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ভবনের শতাধিক ঠিকাদার গ্রেপ্তার

তুরস্কে ভূমিকম্পে হাজারো ভবন ধসের ঘটনায় ওই ভবনগুলো নির্মাণে জড়িত ঠিকাদারদের ধরতে শুরু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ১০টি প্রদেশের শতাধিক ঠিকাদারকে আটক করা হয়েছে। গত শনিবার তাদের আটক করা হয়। তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।

গত ৬ জানুয়ারির ওই ভূমিকম্পে অন্তত ছয় হাজার ভবন ধসে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে পুরো এলাকা। ভবনগুলোর নির্মাণকাজ নিয়ম মেনে করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্প কবলিত এলাকাগুলোর ভবন নির্মাণে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করা এবং তাদের শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে তুরস্কের বিচার মন্ত্রণালয়।

ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলোর কর্মকর্তাদের ‘ভূমিকম্প অপরাধ তদন্ত ইউনিট’ নামে আলাদা কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

তুরস্কে এর আগে ১৯৯৯ সালেও ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। এরপর দেশটিতে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। গত সপ্তাহের ভূমিম্পের পর থেকে অভিযোগ উঠেছে, দেশটিতে অনেক ভবন নির্মাণেই ওই নীতিমালা মানা হয়নি। দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অনেকেই নীতিমালা না মেনে ভবন নির্মাণ করেছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নীতিমালা না মেনে ভবনগুলো নির্মাণের কারণেই এত ধসের ঘটনা ঘটেছে। গত সপ্তাহের ভূমিকম্পে ধসে যাওয়া ভবনগুলোর মধ্যে নতুন নির্মিত অনেক বাড়িও রয়েছে। বাড়িগুলো নির্মাণের সময় অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।

তুরস্কের সারায়কিন্ত শহরের ১৪ তলা বিশিষ্ট বিলাসবহুল একটি ভবনের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, এটি নির্মাণে প্রয়োজনের চেয়ে কম জনবল ব্যবহার করা হয়েছিল। ৯০ অ্যাপার্টমেন্টের ওই ভবনটিও ভূমিকম্পে ধসে গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভূমিকম্প অপরাধীদের’ শাস্তির আওতায় আনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ঠিকাদারদের আটক করা হচ্ছে।

নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এরমধ্যে তুরস্কেই মৃতের সংখ্যা ২৪ হাজারের বেশি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত