সিলেটটুডে ওয়েব ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ০১:৩১

ইচ্ছামৃত্যুর পক্ষে রায় কানাডার আদালতের , বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন মত

কানাডায় চিকিৎসকের সহায়তায় আত্মহত্যায় সম্মতি দিল সেদেশের সুপ্রিম কোর্ট। এ ব্যাপারে কানাডার আইনে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা তুলে দিল শীর্ষ আদালত।

কানাডায় চিকিৎসকের সহায়তায় আত্মহত্যায় সম্মতি দিল সেদেশের সুপ্রিম কোর্ট। এ ব্যাপারে কানাডার আইনে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা তুলে দিল শীর্ষ আদালত।

অবশ্য চাইলেই কেউ ডাক্তারকে বলে আত্মহত্যা বা ইচ্ছামৃত্যু করার জন্য তাঁর সাহায্য নিতে পারবেন না। কানাডা সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, যাতে বাঁচার বিন্দুমাত্র আশা নেই, একমাত্র এমন দুরারোগ্য অসুখে ভুগলেই কেউ চিকিত্সকের সাহায্যে আত্মহত্যা করতে পারবেন।এবং তাঁকে বৈধ প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে।

কানাডা সুপ্রিম কোর্ট একইসঙ্গে এও জানিয়েছে,  ডাক্তারের সহায়তায় আত্মহত্যায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে তাদের আজকের দেওয়া রায় এক বছর কার্যকর হবে না, তা সাসপেন্ড থাকবে ইস্যুটি যেহেতু খুব বিতর্কিত, তাই আইনপ্রণেতাদের নতুন নিয়মবিধি নির্ধারণের সুযোগ দেওয়ার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত।

চিকিত্সকদের সহায়তা নিয়ে আত্মহত্যা নিষেধাজ্ঞাকে আইনি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের দুই মহিলা।তাঁরা দুজনেই মারা গিয়েছেন।তাঁদের আইনি উদ্যোগে সমর্থন ছিল নাগরিক অধিকার রক্ষা গোষ্ঠীগুলির।

সেই মহিলাদের একজন, গ্লোরিয়া টেলর সংক্রমণে ভুগে মারা গিয়েছেন।কে কার্টার নামে অপর মহিলা সুইজারল্যান্ড চলে যান।সেখানে ডাক্তারের সহায়তায় আত্মহত্যা করার অনুমতি পান তিনি।মৃত্যুর আগে তিনি বলে যান, ৮৯ বছর বয়সে ‘এক ইঞ্চি করে মৃত্যুর যন্ত্রণা’ তাঁর কাছে অসহনীয়।

১৯৯৩ সালে সু রগরিগেজ নামে কানাডায় স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার আন্দোলনের এক কট্টর সমর্থকের দায়ের করা মামলায় যে রায় বেরিয়েছিল, কানাডার সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ে তা খারিজ হয়ে গেল।সেসময় আদালত বিপন্ন হয়ে পড়া মানুষজনকে সুরক্ষিত রাখার দৃষ্টিকোণ থেকে স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকারের দাবিতে সায় দেয়নি।

 তবে এই রায় নিয়ে চলছে বিতর্ক । পৃথিবী জুড়েই বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের রয়েছে এ নিয়ে বিভিন্ন মত ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত