সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১২:২৭

সূর্যাভিযানে ছুটল ভারতের মহাকাশযান আদিত্য-এল১

ছবি: সংগৃহীত

চাঁদের পর এবার সূর্যাভিযানে মহাকাশযান পাঠাল ভারত।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে সাফল্যের সঙ্গে আদিত্য-এল১ নামের মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) জানিয়েছে, আদিত্য-এল১ নামের মহাকাশযানটি পিএসএলভি এক্সএল সি-৫৭ রকেটের সাহায্যে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এই রকেট আদিত্য-এল১-কে পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যবর্তী ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট ১-এ (এল–১) পৌঁছে দেবে। সেখান থেকেই গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করবে মহাকাশযানটি, পৃথিবী থেকে যার দূরত্ব প্রায় ১৫ লাখ কিলোমিটার। সময় লাগবে প্রায় ১২০ দিন।

আদিত্য-এল১ ভারত থেকে সূর্যের দিকে পাঠানো প্রথম মহাকাশযান। সূর্যের অপর নাম আদিত্য। তাই মহাকাশযানের এই নাম রাখা হয়েছে।

ইসরো সূত্রে জানাযায়, উৎক্ষেপণের পর প্রায় ১৬ দিন পৃথিবীর চারিদিকে পাক খাবে আদিত্য-এল১। এই ১৬ দিনে সূর্যের দিকে পাড়ি দেওয়ার জন্য পাঁচটি ধাপে গতিবেগ বাড়াবে আদিত্য। এর পর ১১০ দিন সূর্যের অভিমুখে যাত্রা করে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়িয়ে নক্ষত্রটিকে পর্যবেক্ষণ করবে। এই ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে সূর্য ও পৃথিবীর আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ বল একসঙ্গে ক্রিয়াশীল। ফলে এই অঞ্চলে পৌঁছে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থির থাকতে পারে। মহাকাশের পরিবেশ, আবহাওয়া, তার ওপর সূর্যের কী প্রভাব পড়ে, সে সব জানার চেষ্টা করবে আদিত্য এল১।

আদিত্য-এল-১ অভিযানের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৩৭৮.৫৩ কোটি টাকা। এই অভিযান সফল হলে সৌরঝড়ের পূর্বাভাস দিতে সক্ষম হবে ইসরো। পাশাপাশি সূর্যের আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাবও বুঝতে সাহায্য করবে এই মহাকাশযান। এই অভিযানের মাধ্যমে সূর্য সম্পর্কে অজানা অনেক তথ্য ভারতের হাতে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আদিত্য এল১ যানটিতে মোট সাতটি পেলোড থাকবে। এগুলো সূর্যের বিভিন্ন স্তর খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ফটোস্ফিয়ার থেকে ক্রোমোস্ফিয়ার কিংবা সূর্যের একে বারে বাইরের দিকের স্তর কোরোনা, পর্যবেক্ষণ করবে এই পেলোডগুলো। এছাড়া সূর্যের উত্তাপ, সৌর পদার্থের নিঃসরণ, সৌর ঝড়ের মতো সূর্যকেন্দ্রিক বিষয়গুলো বুঝতেও বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে। ভিসিবল এমিশন লাইন করোনাগ্রাফি (ভিইএলসি) এবং সোলার আল্ট্রাভায়োলেট ইমেজিং টেলিস্কোপ (এসএউআইটি) নামে দু’টি মূল পেলোড রয়েছে। ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট পৌঁছানোর পরে এই ভিইএলসি পেলোড প্রতিদিন ১,৪৪০টি ছবি তুলে পাঠাবে। তাই এই পেলোডটিকেই আদিত্য এল-১-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পেলোড বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত