সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:১৯

গাজায় নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু

ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অব্যাহত রয়েছে। শনিবার সংঘাতের ১৪তম দিনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুই পরিবারেরই ৩৪ জন সদস্য রয়েছেন।

এছাড়া মধ্য গাজার কেন্দ্রীয় দেইর এল-বালাহ এবং আল-বুরেজ শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও সাতজন নিহত হয়েছে।

এখন পর্যন্ত অবরুদ্ধ এ অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ১৩৭ জনে। হতাহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই শিশু ও নারী। এছাড়া অব্যাহত এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১৩ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা।

এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় জাতিসংঘ। খবর আল জাজিরা।

জাতিসংঘ জানায়, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া অব্যাহত ইসরায়েলি বিমান হামলা ও অভিযানে নিখোঁজ রয়েছেন হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। ধারণা করা হচ্ছে নিখোঁজরা গাজা উপত্যকায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে।

এছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরে গত ২৪ ঘন্টায়, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও তিনজন ফিলিস্তিনি শিশু হত্যা হয়েছে। এই নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৫ শিশু সহ এই অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি বাহিনী বা বসতি স্থাপনকারীদের হাতে নিহত ফিলিস্তিনিদের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২ জনে।

জাতিসংঘের হিসেবে গাজা উপত্যকায় প্রায় ১৪ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এদের মধ্যে সাড়ে পাঁচ লাখেরও বেশি জাতিসংঘ-নির্ধারিত ১৪৭টি জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বর্তমানে ধারণ ক্ষমতার বাইরে বাস্তুচ্যুত মানুষ রয়েছে।

গাজার আবাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে এবং জাতিসংঘের অনুমান, এখনও পর্যন্ত, গাজা উপত্যকার সমস্ত আবাসনের অন্তত ৩০ শতাংশ ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে ক্রমবর্ধমান ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা এবং সরকারী বিধিনিষেধের কারণে, গত ৭ অক্টোবর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১৩টি পশুপালক/বেদুইন সম্প্রদায় থেকে কমপক্ষে ৭৪টি ফিলিস্তিনি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে৷ এসব পরিবারের মধ্যে ৫৪৫ জন লোক রয়েছে যার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি শিশু।

অন্যদিকে চলমা সংঘাতে ইসরায়েলে ১৪০০ এরও বেশি ইসরায়েলি এবং বিদেশী নাগরিক নিহত হয়েছে, এদের মধ্যে বেশিরভাগই ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার নিহত হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত