
০৪ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫ ১১:৩৯
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো ও কানাডার ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের বিষয়টি আগামী এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। অবৈধ অভিবাসী এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কিছু শর্তে তিনি প্রতিবেশী দুই দেশের ওপর থেকে এই শুল্কারোপ স্থগিত করেন। তবে চীনের ওপর শুল্কারোপ বহাল থাকছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) শুল্কারোপের এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। খবর রয়টার্সের।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম জানিয়েছেন, তারা ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী অবৈধ অভিবাসন এবং মাদকপাচার নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেবেন। এর ফলে মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হতে যাওয়া ২৫ শতাংশ শুল্ক আগামী ৩০ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে।
কানাডা অবৈধ অভিবাসী, ফেন্টানিল পাচার, সংগঠিত অপরাধ এবং অর্থ পাচার রোধে নতুন প্রযুক্তি ও কর্মী যুক্ত করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করবে।
মেক্সিকো অবৈধ অভিবাসন এবং মাদক পাচার রোধ করতে উত্তর সীমান্তে ১০ হাজার জাতীয় গার্ড সদস্য মোতায়েন করবে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রও মেক্সিকোতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র পাচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার দায়িত্ব হল সকল আমেরিকানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আমি এটি নিশ্চিত করছি। আমি প্রাথমিক ফলাফলে খুব খুশি।’
কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এই চুক্তিগুলো শুরু হতে যাওয়া বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ আপাতত রোধ করেছে।
তবে চীনের সঙ্গে এমন কোনো চুক্তি এখনও হয়নি। যার ফলে চীনের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক মঙ্গলবার স্থানীয় সময় থেকে কার্যকর হবে। হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র বলেছেন, ট্রাম্প এই সপ্তাহে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলবেন।
এদিকে ট্রাম্প জানিয়েছেন, চীন যদি ফেন্টানিল পাচার বন্ধ না করে, তবে শুল্ক আরও বাড়ানো হতে পারে।
তবে চীন শুল্কারোপের বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় চ্যালেঞ্জ জানাবে এবং তারা অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে। এ ছাড়া তারা আলোচনার জন্য দরজা খোলা রেখেছে।
আপনার মন্তব্য