১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১০:৫১
বিহারে সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিশাল জয় পেয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগণনা। পরে রাতে ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
বিহারের বিধানসভায় আসনসংখ্যা মোট ২৪৩টি। নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে দুই দফায়। গত ৬ নভেম্বর প্রথম দফায় ১২১ আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এ দফায় ভোট পড়ে ৬৫ শতাংশের বেশি। পরে ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হয় ১২২টি আসনে। এ দফায় ভোট পড়েছিল ৬৮ শতাংশের বেশি। দুই দফা মিলিয়ে প্রায় ৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এই নির্বাচনে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে বিজেপি-জনতা দল ইউনাইডেট (জেডিইউ) নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এবং কংগ্রেস-রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতৃত্বাধীন জোট মহাগাঠবন্ধনের মধ্যে। ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায়, বিধানসভার ২৪২টি আসনের মধ্যে ২০২টিতে জয় পেয়েছেনে এনডিএ জোটের প্রার্থীরা। বিরোধী মহাগাঠবন্ধন জোটের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন ৩৫টি আসনে।
এনডিএ জোটের সবচেয়ে বড় শরিক দল বিজেপি জয় পেয়েছে ৮৯টি আসনে। জোটের দ্বিতীয় শরিক এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ ৮৫টি আসানে জয় পয়েছে। এছাড়া বিহারের রাজনীতিবিদ এবং ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি ১৯টি এবং আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন রাম মাঝির নেতৃত্বাধীন আওয়াম মোর্চা পার্টি জিতেছে ৫টি আসনে।
বিহারে এবারের নির্বাচনে ‘এক্স ফ্যাক্টর’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টিকে। কিন্তু ভরাডুবি ঘটেছে দলটির, একটি আসনও পায়নি জন সুরাজ পার্টি। অন্যদিকে ‘ডার্ক হর্স’ হিসেবে উঠে এসেছে তেলেঙ্গানার রাজনীতিবিদ এবং হায়দরাবাদের এমপি আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম)। বিহারের ৫টি আসনে জয় পেয়েছে মিম।
ফলাফল প্রকাশের পর এক বার্তায় এনডিএ জোটকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচনে কিছু রাজনৈতিক দল সংখ্যালঘু তোষণের ফর্মুলা অনুসরণ করেছে, কিন্তু বিহারের নারী ও তরুণরা এনডিএ-কে বিজয়ী করেছে।’
আপনার মন্তব্য