সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ জুন, ২০১৬ ২০:৫৫

টাক ঢাকতে জীবন গেল মেডিকেল ছাত্রের

টাক মাথা নিয়ে হতাশায় ছিলেন সন্তোষ (২২)। এজন্য ভারতের চেন্নাইয়ের মেডিকেল শেষবর্ষের এই ছাত্র টাক মাথায় চুল প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন।

কিন্তু সেটিই তার জন্য কাল হল। গত মাসে তিনি চুল প্রতিস্থাপন করেন। এর দু'দিন পরই সন্তোষের মৃত্যু হয়। খবর এনডিটিভির।

একটি বেসরকারি হাসপাতালে সন্তোষের মাথায় ১ হাজার ২শ'টি চুল প্রতিস্থাপন করতে ১০ ঘণ্টা সময় লাগে। এরপরই তার জ্বর আসে। ধীরে ধীরে জ্বর কিছুটা কমলেও অস্ত্রোপচারের তৃতীয় দিনেই তিনি মারা যান।

সন্তোষের মা জসেবীন পেশায় একজন নার্স। এরপরও তিনি একমাত্র ছেলের অকাল মৃত্যু দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারেননি।

সন্তোষের মৃত্যুর পর এডভান্স হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টার নামে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা পালিয়ে গেছেন।

সন্তোষের বাবা-মায়ের অভিযোগ, হাসপাতালটি আসলে টাকা কামানোর মেশিন। এখানকার চিকিৎসকদের রোগীর চেয়ে টাকার দিকেই খেয়াল বেশি। প্রতিদিন হাসপাতালটি ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা আয় করে।

তারা বলেন, এখানকার দু'জন চিকিৎসকের খামখেয়ালীতে অল্প বয়সেই আমরা আমাদের একমাত্র ছেলেকে হারালাম। শৈলচিকিৎসক না হয়েও এ বিষয়ে অনভিজ্ঞ ওই চিকিৎসকরা চুল প্রতিস্থাপন করেছেন।

তারা ছেলে হত্যার জন্য ওই চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারের কাছ থেকে সেলুন চালানোর কথা বলে প্রতিষ্ঠানটি লাইসেন্স নিয়েছিল। তাও আবার দুই মাস আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত