সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১১ জুন, ২০১৬ ০০:০২

কোটি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত মোহাম্মদ আলীর চিরবিদায়

কোটি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন সদ্যপ্রয়াত বিশ্বখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী। এ বক্সিং কিংবদন্তিকে শেষ বিদায় জানাতে মানুষের ঢল নামে তার জানাজায়।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের শহর লুইসভিলেতে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে সমবেত হন দুনিয়ার নানা প্রান্ত থেকে আসা লাখো মানুষ। মোহাম্মদ আলীকে বিদায় জানাতে জড়ো হওয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, বক্সার মাইক টাইসন, অভিনেতা উইল স্মিথ, কমেডিয়ান বিলি ক্রিস্টাল, সাংবাদিক ব্রায়ান্ট গামবেল প্রমুখ।

এছাড়া তাকে শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে জড়ো হন মুসলিম নেতৃবৃন্দ। তাদের মধ্যে ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান, জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ, সঙ্গীতশিল্পী ইউসুফ ইসলাম, বার্কলি মুসলিম লিবারেল আর্টস স্কুল ও জয়তুনা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা জায়েদ শাকির, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার মুসলিম স্কলার শারমেন জ্যাকসন প্রমুখ।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় আলীর মরদেহ বহন করে মোটর শোভাযাত্রা শুরু হয়। এই মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে মোহাম্মদ আলীর মরদেহ তাঁর শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য এবং শেষ জীবনের স্মৃতিমাখা বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। শোভাযাত্রা শেষে সমাহিত করার উদ্দেশে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেভ হিল সমাধিস্থলে।

মরদেহবাহী মোটর শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার পর রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে ফুল বর্ষণ করতে থাকেন আলীর ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীরা। ৯০ মিনিট দূরত্বের সড়কের দু’পাশে তখন জনতার ‘আলী, আলী’ স্লোগান।

কিংবদন্তী এ বক্সারের একজন পারিবারিক মুখপাত্র জানান, মৃত্যুর কয়েক বছর আগে নিজের জানাজা ও দাফনের পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন মোহাম্মদ আলী নিজেই। দুইদিনব্যাপী শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের প্রথম দিনটিতে (বৃহস্পতিবার) মুসলিম রীতিতে জানাজা পড়ানো হয়। আর দ্বিতীয় দিনের দাফন অনুষ্ঠানটি বিশ্বজনীন।

মোহাম্মদ আলীর দাফনে সব ধর্মের মানুষের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়। কেননা মুসলমান আত্মপরিচয়ের প্রতি আলীর যে অঙ্গীকার ছিল, একই সেই অঙ্গীকার ছিল বিশ্বজনীন পরিচয়ের প্রতিও। নিজেকে বিশ্ব-নাগরিক ভাবতেন তিনি।

গত ৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্সের একটি হাসপাতালে ৭৪ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলী। সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত