সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ জুন, ২০১৬ ১৯:৩৭

ইইউ ছাড়তে এখন যা করতে হবে ব্রিটেনকে

ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটেনের না থাকা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। গণভোটে ৫২ শতাংশ ভোট পড়েছে ইইউতে না থাকার পক্ষে।

এর ফলে ২৮ জাতির জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ৪৩ বছরের বন্ধন ছিন্ন হচ্ছে যুক্তরাজ্যের। ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠনের পর ব্রিটেনই প্রথম দেশ, যারা সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে আসতে চলেছে।

কিন্তু এখনি ইইউ থেকে ব্রিটেন বেরিয়ে আসতে পারছে না। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অন্তত দুই বছর সময় অপেক্ষা করতে হবে তাদের। খবর বিবিসির।

গণভোটের প্রচারণায় আন্দোলনকারীরা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ২০২০ সালের আগে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে না। অন্তত পরবর্তী নির্ধারিত সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

লিসবন চুক্তির আর্টিকেল-৫০ ধারা মোতাবেক এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে সিদ্ধান্ত নিবে কখন তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন।

আর্টিকেল-৫০ ধারা মোতাবেক সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে ব্রিটেন দুই বছর সময় পাবে।

এ ধারা মোতাবেক কোনো দেশ একবার বেরিয়ে এলে সকল সদস্য রাষ্ট্রের সম্মতি ছাড়া পুনরায় যোগদান করতে পারবে না।

এ প্রক্রিয়া মাথায় রেখে অবশ্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন আগেই বলেছেন, ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে গণরায় এলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিনি আর্টিকেল-৫০ নিয়ে আলোচনায় বসবেন।

তবে ইইউ বিরোধী প্রচারাভিযানে নেতৃত্বদানকারী বরিস জনসন ও মাইকেল গোভ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরনের তাড়াহুড়ো করা উচিত হবে না।

তারা এও বলেছেন, ইইউ ছেড়ে আসার আগে ইইউ বিচারকদের ক্ষমতার লাগাম টেনে ধরা, শ্রমিকের অবাধ চলাচল সীমিতকরণ এবং সম্ভাব্য ইউকে চুক্তি লংঘনের দায়বদ্ধতাসহ বেশ কিছু পরিবর্তন চান তারা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের সরকারকে তার ভবিষ্যত বাণিজ্যিক সম্পর্কও নিয়ে আলোচনা করতে হবে। এছাড়া অ-ইইউ দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সংক্রান্ত চুক্তিগুলোও নির্দিষ্ট করতে হবে।

ইইউ আইনের ৪০ বছরেরও অধিক বিষয় নিয়ে হোয়াইটহল এবং ওয়েস্টমিনস্টারকে এখন এক বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করতে হবে। তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন কোন নির্দেশনা ও প্রবিধান রাখা কিংবা সংশোধন বা বাতিল করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত