ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

০৪ এপ্রিল, ২০১৫ ০৩:০০

ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব

পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে অবশেষে একটি খসড়া সমঝোতায় পৌঁছেছে ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তি। ঐতিহাসিক এ সমঝোতা অনুযায়ী ইরান তার পরমাণু সমৃদ্ধ কর্মসূচি সীমিত করবে। বিনিময়ে পশ্চিমা বিশ্ব দেশটির ওপর থেকে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা পর্যায়ক্রমে তুলে নেবে। খবর এএফপি ও বিবিসির।

সুইজারল্যান্ডের লুজান শহরের বিউ রিভেজ প্যালেস হোটেলে ৮ দিন আলোচনার পর বৃহস্পতিবার সমঝোতায় পৌঁছায় বিশ্ব নেতারা। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মতৈক্যের ঘোষণা দেয়া হয়। এখন তাদের লক্ষ্য হবে ৩০ জুনের মধ্যে খসড়া চুক্তিতে পৌঁছা।

এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে বলেছেন, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক সমঝোতা চুক্তির রূপরেখা বাস্তবায়ন হলে তা ইসরাইলের অস্তিত্বকে হুমকিতে ফেলবে।

রেগেভ জানান, ওবামার সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে নেতানিয়াহু বলেন, চুক্তি হলেও ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির পথ থেকে সরে আসবে না। শুক্রবার নেতানিয়াহুর মুখপাত্র মার্ক নেগেভের টুইটার বার্তায় এ তথ্য জানান।

ইসরাইলের নেতারা এর আগেও এ চুক্তির রূপরেখাকে ‘ঐতিহাসিক ভুল এবং বিপজ্জনক’ হিসেবে উল্লেখ করেছিল। আলজাজিরা জানায়, বিশ্বশক্তির এ সমঝোতার বিষয়ে আলোচনা করতে নেতানিয়াহু শুক্রবার নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন।

বিতর্কিত পরমাণু ইস্যু নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছা ছয় বিশ্ব শক্তির মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানি। এদিকে এক অলিখিত সমঝোতা হলেও পশ্চিমা বিশ্ব এটিকে একটি কঠিন জয় এবং ঐতিহাসিক সাফল্য হিসেবেই দেখছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, এতদিন দু’পক্ষই পারস্পরিক অবিশ্বাসের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছে। এখন এতে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সমঝোতাকে স্বাগত জানান এবং এ উদ্যোগকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেন। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন সমঝোতার প্রশংসা করে বলেন, এ সমঝোতা মধ্যপ্রাচ্যে অঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিক ফেডারিকা মুগেরিরি যৌথ বিবৃতিতে সমঝোতার কথা ঘোষণা করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ইরান পরমাণু স্থাপনায় সেন্ট্রিফিউজের সংখ্যা কমিয়ে আনবে, ১৯ হাজার সেন্ট্রিফিউজ কমিয়ে ৬ হাজার করা হবে।

একই সঙ্গে পরমাণু স্থাপনার নকশায়ও পরিবর্তন আনবে, যেন পরমাণু অস্ত্রের জন্য নির্দিষ্টমানের প্লুটোনিয়াম তৈরি করা সম্ভব না হয়। এছাড়া ইরানের পরমাণু স্থাপনায় আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থার (আইএইএ) নজরদারি থাকবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত