সিলেটটুডে অনলাইন ডেস্ক

২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ২৩:৩৩

বিশ্বে ১০ জনে ৯ জনই বিশুদ্ধ বাতাস পায় না

বিশ্বে প্রতি ১০ জনের ৯ জনই বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নেয়ার সুযোগ পায় না। আর অবিশুদ্ধ বাতাসে গ্রহণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এমন তথ্য সম্বলিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ডব্লিউএইচওর জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিভাগের প্রধান মারিয়া নিরা বলেন, জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদনের প্রকাশিত তথ্য আমাদের সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। শহরে এই সমস্যাটি তীব্র, তবে গ্রামেও আবার অন্য ধরনের সমস্যা রয়েছে।  

তিনি বলেন, গরিব দেশগুলোর বাতাস উন্নত দেশগুলোর চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি দূষিত। তবে এ দূষণের প্রভাব বিশ্বব্যাপী সবগুলো দেশ ও সমাজে সমানভাবেই পড়ে। এ বিষয়টিকে জনস্বাস্থ্যের ‘জরুরি অবস্থা’ হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ সমস্যাটির সমাধান খুব দ্রুত করা সম্ভব নয়, তবে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কমানো, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও রান্নার কাজে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ব্যবহারের মাধ্যমে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। আর এসব পদক্ষেপ নিতে হবে প্রত্যেক দেশের সরকারকে। যোগ করেন নিরা।

বিশ্বব্যাপী তিন হাজারেরও বেশি অঞ্চল থেকে তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, বিশ্বের ৯২ শতাংশ মানুষের বাস এমন স্থানগুলোর  বাতাসের দূষণের মাত্রা ডব্লিউএইচও নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে।

গবেষণায় বিপজ্জনক বস্তুকণার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে যার ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটার। এর মধ্যে সালফেট এবং ব্ল্যাক কার্বনের মতো বিষাক্ত বস্তুও অন্তর্ভুক্ত। প্রতি ঘনমিটার বাতাসে এসব বস্তু কণার ব্যাস ১০ মাইক্রোগ্রাম। যা আমাদের শ্বাসতন্ত্র ও হৃৎপিণ্ডের গভীরে প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।

ডব্লিউএইচও বলছে, ইনডোর এবং আউটডোর বায়ু দূষণের কারণে বছরে ৬০ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। শুধু আউটডোর বায়ু দূষণেই বছরে মারা যায় ৩০ লাখ মানুষ। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলো যেখানে রান্নার জন্য কাঠকয়লা ব্যবহারের বায়ু দূষণজনিত মৃত্যুর ৯০ শতাংশই ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে। এর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনামসহ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলই প্রধান।

গত মে মাসে আরেকটি প্রতিবেদনে ডব্লিওএইচও জানিয়েছিল, বিশ্বের ৮০ শতাংশ শহরের বাসিন্দা অবিশুদ্ধ বাতাসের কারণে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যায় ভুগছেন। অন্যদিকে অনুন্নত বা গরিব দেশগুলোর ৯৮ শতাংশ মানুষ একই সমস্যায় ভুগছেন। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আপনার মন্তব্য

আলোচিত